Effects of TV Serials on Society in 21st Century in Bengali | সমাজে টি ভি সিরিয়ালের প্রভাব

আশির দশকের শেষ ও নব্বই দশকের শুরুর সন্ধিক্ষণে মহাভারতরামায়ণ টিভি সিরিয়ালের(Mahabharat Ramayan Serial) আকর্ষণ ও সামাজিক প্রভাব(Effects of TV Serials on Society) বর্তমান সমাজে রোমন্থনকারী ঘটনা। উন্নত প্রযুক্তি দূরদর্শনের সম্প্রচারে টিভি সিরিয়ালের বিপ্লব বলতে যা বোঝায় রামায়ণ মহাভারতকে সর্বাগ্রে রাখতে হয়। সার্ভে বলে রামায়ণ মহাভারত সিরিয়াল চলাকালীন দেশে যত টিভি সেট ছিল এই টিভি সিরিয়াল দুটি 98% টি ভি-তেই সম্প্রচারিত  হতো। বর্তমানে যাকে আমরা টিআরপি বলি রামায়ণ মহাভারত ছাড়া অন্যান্য টিভি সিরিয়াল কতটা প্রভাবিত করেনি বললে ভুল হবে, তবে রামায়ণ-মহাভারতের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি বলাটাই যুক্তিযুক্ত।

Table of Contents

সে সময় টিভি যুগের আমূল পরিবর্তনই ধীরে ধীরে বর্তমান কাল পর্যন্ত পট পরিবর্তনের মাধ্যমে মেগাসিরিয়াল পরিণত হযৈ সমাজ পরিবর্তনকারী সিরিয়ালে পরিণত হয়েছে। সপ্তাহে দুইদিন থেকে ক্রমে ক্রমে সারা সপ্তাহ গ্রাস করেছে। টিভি সিরিয়াল সহ নানান বিনোদনমূলক টিভি প্রোগ্রামে আমরা বাঁধা পড়েছি। টিভি সিরিয়াল সহ অন্যান্য সমস্ত প্রোগ্রাম যেখানে ন্যাশনাল টিভি ছাড়া অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা কল্পনা করা যেত না, সেখানে বর্তমানে আর সে কসরত নেই।

সাদাকালো টিভিতে রামায়ণ মহাভারত, বাংলা হিন্দি সিনেমা প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে বহুদূর থেকে দর্শনা অর্থেই নিজেকে বড় ভাগ্যবান মনে হতো। আজ সেই সৌভাগ্যের গুরুত্ব মূল্যহীন। কেননা প্রতি মুহূর্তেই যে কোন চ্যানেলে 24 ঘন্টা ব্যাপী নানান অনুষ্ঠান। টিভিকে অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় অথচ অতি সাধারন বস্তুতে পরিণত হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে বিনোদনের সম্প্রচার অনুষ্ঠানের প্রচার ও তার বৈশিষ্ট্য। মানুষের কাছে নিজের গুরুত্ব প্রচার করতে করতে কেবলই চমকপ্রদ হয়েছে, কিন্তু সত্যতা ও প্রয়োজনীয়তা বিসর্জন হয়েছে।

আর এই সঙ্গে আছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের চর্বিত চর্বণ। টিভি আসার সাথে সাথে বই পড়া। বই মুখিনতা থেকে মানুষ বিমুখ হল, তখন অনেকেই টিভিকে বোকাবাক্স আখ্যা দিয়েছে। ধীরে ধীরে মানুষের বই পড়া তো দূরের কথা বই বলে কোন কিছু আছে কিনা সেটাও ভুলে গেল‌। সপ্তাহে দুদিন সামান্য সময়ের জন্য টিভি আমাদের সময় নিত। বাকি সময় অন্যান্য ব্যক্তিগত সামাজিক কাজ করার প্রচুর সময় থাকত। আর এখন সপ্তাহের প্রতিদিনই টিভি আমাদের সময় খেয়ে নিচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানান চ্যানেলে নানান অনুষ্ঠান। একরকম নয়। ভিন্ন স্বাদের সব অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত স্বাদ আস্বাদনের লক্ষ্যে আমরা যারপরনাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। আপনার সাথে সামাজিকতা করার সময় কোথায়?

টিভি প্রোগ্রাম বা টিভি সিরিয়ালের ভালো-মন্দ(Good and Bad Effects of TV Serials)-

সমাজে প্রচলিত সমস্ত আচার-আচরণ প্রথা রীতিনীতির মধ্যে ভালো-মন্দ মিলেমিশে থাকে। মানুষ কোন প্রথাকে কিভাবে ব্যবহার করবে তা যেমন নিজের বেড়ে ওঠা পরিবার এবং ব্যক্তিগত মানসিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে, তেমনি তা আবার সমাজ দ্বারাও প্রভাবিত। যাকে আমরা সর্বজনগ্রাহ্য বলে অভিহিত করি। টিভি সিরিয়াল দেখানো দেখাটাও ব্যক্তিগত রুচি মানসিকতা বৈশিষ্ট্য উপর নির্ভর করে। কোন সিরিয়াল ভালো, কোনটা মন্দ তাও ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভরশীল।

তবে সাধারণভাবে বলা যায় প্রায় সমস্ত পরিবারই সিরিয়াল দেখার আনন্দ উপভোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চায় না। সময় চলে যায়‌ কিন্তু কি পাই টিভি সিরিয়াল থেকে?(Generally we say None of the family of our society deprive themselves from watching of TV Serials. Time goes away, but whatever output we return back?)

টিভি সিরিয়াল গুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য(General Characteristics of TV Serials) এবং সমাজে টি ভি সিরিয়ালের প্রভাব(Effects of TV Serials on Society)-

1.একই গল্পের পুনরাবৃত্তি(Repetition of Same Stories)-

সংবাদমাধ্যম, দূরদর্শন, রেডিওর অবদান সম্পর্কে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এমনকি স্কুলের পরীক্ষাতে প্রবন্ধ রচনা করতে হতো। সে সময় এগুলোর বেশির ভাগ বৈশিষ্ট্যগুলি ভালোর দিকে ছিল। চাহিদা, ব্যবসা ইত্যাদির কারণে দর্শক ধরে রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে সর্বাধিক। যে কোন উপায়ে মানুষের কৌতূহলের সৃষ্টি করে নিজের আখের গোছানোর উদ্দেশ্যে গল্প নাটক এবং সম্প্রচারের ধরণ পাল্টায়। এ এক ব্যবসায়ী স্ট্রাটেজি। সমাজকে কতটা উন্নতি করবে ছাত্র-ছাত্রীদের কতটা মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। সকল কাহিনীকার প্রযোজকের একই গতানুগতিক পদ্ধতি। সিরিয়াল গুলোর মধ্যে গুণগত বৈশিষ্ট্য একই‌। অর্থাৎ সিরিয়ালের মধ্যে একই গল্প ঘুরেফিরে চলছে এমনকি যে সিরিয়াল গুলো শেষ হয়েছে সেগুলোর সাথে গল্পের মিল বেশ ভালোভাবে মিশে যায়।

2.ঝগড়া কলহ(Always Quarrel and Contest)-

প্রতিটি সিরিয়ালের মধ্যেই আছে ঝগড়া কলহ হিংসা একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস। নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ ভালো চরিত্রগুলি সবসময়ই দীর্ঘদিন থেকে অবহেলা অত্যাচারের শিকার। শয়তান চরিত্রের জয়জয়কার। ভালো চরিত্রগুলি যখন গোপনে আলোচনা করে ভিলেনরা সবসময় তা গোপনে দেখতে ও শুনতে পায়। আবার সৎ চরিত্রগুলির গোপন কথা বার্তা কেউ দেখতে পায়না শুনতেও পায়না। সব সিরিয়ালেরই একই অবস্থা।

3.পরকীয়া প্রেম(Philander Love)-

কোন সিরিয়ালে পরকীয়া ডিভোর্স বহুগামিতা নেই ভাবি। আপনারা বলবেন প্রতিবেদক সারাদিন সিরিয়াল দেখে। না সে রকম ঘটনা ঘটার মত সময় নেই‌। কিন্তু পাশের ঘরে টিভি চললে আর তার আওয়াজ কানে আসে। তাছাড়া সারাদিনের বেশকিছু সময় টিভি সিরিয়াল নিয়ে আলোচনা আমাদের সমাজ পরিবারের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে‌। সে কথাও কানে আসে।

শুনে হাসি পায়। কেউ কেউ বলে- ওই সিরিয়ালটা দারুন, বাস্তব। বই সিরিয়ালটা খুবই শিক্ষার। বাকি সিরিয়াল গুলি কি দোষ করেছে ভাবতে বসি।

4.সত্যের পরাজয়(Death of truth)-

অসত্যের এক সীমা থাকা জরুরী। তাছাড়া মনের মধ্যে একটা কষ্ট বুকের ভেতর চাপা ব্যথা সব সময় জন্য থেকে যায়। সেটা জীবনধারণের পক্ষে অন্তরায়। এক মানসিক রোগে পরিণত হতে বাধ্য।

সমস্ত সিরিয়াল গুলোর মধ্যেই চলতে থাকে অসত্যের পুজো ও সত্যের ধ্বংসলীলা। কিন্তু মানুষ তা চায় না। তারা চায় নায়ক-নায়িকা ও সত্যের পূজারিদের জয়জয়কার, আর শয়তানির অবসান। প্রযোজকদের উদ্দেশ্য হলো অসত্যকে জিইয়ে রেখে সিরিয়ালের সাথে মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা। তাতে সে দর্শকের মনে কি ধরনের অশান্তি সৃষ্টি হয় তা নিয়ে তার ভাবার সময় নেই।

5.অবাস্তব দীর্ঘসূত্রতা(Unreal Lengthiness)-

একটি সমস্যার মাধ্যমে সদুত্তর পেতে মাসের পর মাস কেটে যায়। বাস্তবে এরকম ঘটনা খুব কমই ঘটে। যে সমস্যা এক-দু’দিনের মিটে যাওয়ার কথা, তাকে ফ্লাশব্যাক বা বারবার রিপিট করিয়ে গল্পটিকে গল্প পর্যায়ে রেখে অবাস্তব পরিণত করা একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য।

6.অপশক্তির জয়জয়কার-

প্রতিটা সিরিয়ালের মধ্যে থাকে শূভশক্তি ও অপশক্তির বিতণ্ডা। কিন্তু দেখা যায় সেই বিতন্ডায় অশুভ শক্তির জয় জয়কার। যেখানে শূভশক্তি প্রতি মুহূর্তে পরাজিত হয়ে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য।

মানুষ শুভশক্তির মধ্যে নিজের শক্তিকে মেলানোর চেষ্টা করে। বারবার শূভশক্তির পরাজয় অর্থে নিজেই নিজের কাছে হেরে যাওয়া। এই ঘটনা মানসিক বিপর্যয়ে ফেলে। কালক্রমে মানসিক রোগীতে পরিণত হওয়া অসম্ভব নয়।

7.বাস্তবের সামাজিক অনুষ্ঠানের সাথে মিলন(Correlation with Real Social Programme)-

সামাজিক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান যেমন বিভিন্ন পুজো, জাতীয় দিবস, ঈদ, তিথিরীতি ইত্যাদির সাথে সিরিয়াল গুলি যারপরনাই মেলাবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। সামাজিকভাবে সমাজের সাথে থাকা ও এগিয়ে চলার এই এক মেকী চেষ্টা।

মানুষের চোখে মানুষের মধ্যে নিজেদের মিলেমিশে রাখার প্রয়াস। কাহিনীর সাথে সে অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিকতা কতখানি তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সত্ত্বেও অতীত এবং বর্তমান মেগাসিরিয়ালের এ এক অসাধারণ বৈশিষ্ট্য।

Read More-

সিরিয়ালের আরো ঋনাত্মক দিক থাকলেও ভালো বা ধনাত্মক দিকগুলিকে অস্বীকার করার উপায়ও নেই। যেমন-

1আশ্চর্য বিনোদন(Tremendous Entertainment)-

আমাদের বাড়িতে মা ঠাকুমা কাকিমা জেঠিমাদের, বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের বিনোদনের জন্য টিভি সিরিয়াল উল্লেখযোগ্য বিনোদন। সকাল থেকে সংসারের নানান কাজকর্মের মধ্যে নিজেদের আত্মনিয়োগ এবং বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের অভাব-অভিযোগ মেটাতে মেটাতে তাদের নিজস্ব বিনোদন বলতে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তাই টিভি সিরিয়াল মহিলাদের আনন্দ-বিনোদনের অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবসাদ কর্মক্লান্তি থেকে বেশ সুরাহা দিতে পারে।

আমার বলার অর্থ এই নয় যে কেবল মহিলারাই টিভি সিরিয়াল দেখে। বয়স্ক পুরুষ সারাদিনের বিভিন্ন সময় অনুযায়ী সিরিয়াল দেখায় নিজেদের অভ্যস্ত করে নিয়েছে। বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তিরা, বাইরে মেলামেশা বা যোগাযোগের পরিধি ছোট হয়ে যাওয়ার জন্য টিভি সিরিয়াল দেখার মাধ্যমে আনন্দের মধ্যে থাকতে চান।

2.উপন্যাস ভিত্তিক সিরিয়াল(Novel base TV Serials) –

বিশেষ কিছু কিছু সিরিয়াল, বিশেষ করে উপন্যাস ভিত্তিক কিছু সিরিয়াল যেগুলো পূর্বেও হয়েছে বর্তমানেও হচ্ছে, তার কাহিনী অনুযায়ী সিরিয়াল গুলি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কাহিনীর মধ্যে কোন অযাচিত উপস্থাপন বা জোরপূর্বক চরিত্র সৃষ্টি ও তার প্রয়োগ থাকেনা। সেগুলো মানুষের মধ্যে মূল উপন্যাস ও সিরিয়ালের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।

3.কর্মসংস্থান(Employment)-

টিভি সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মানুষজন দীর্ঘকালীন কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেখানে সারা দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, বেকারদের ছড়াছড়ি, সেখানে অভিনয় থেকে শুরু করে স্পট বয় এবং প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত নানা ক্ষেত্রে মানুষের কর্মসংস্থান ও রোজগারকে কোন ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। যার যেখানে যোগ্যতা ও প্রদর্শনের ক্ষমতা সে সেখানে যুক্ত থেকে জীবন-জীবিকা সংস্থান করে যাওয়াকে লঘু করা অনুচিত।

4.যুবক যুবতীদের প্রেরণা(Inspiration to the Youth)-

সিরিয়ালের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে অনেক যুবক-যুবতী নিজেদের সিরিয়ালের সাথে নিয়োগ করতে আগ্রহী হতে পারে। কেউ অভিনয়, কেউ পরিচালনা, আর্টের কাজ বা মেকআপ ইত্যাদি কাজে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে‌। পারদর্শিতা দক্ষতা এবং সর্বোপরি আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কাজ শিখে শিল্পের সাথে যুক্ত হতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে নিজের প্রতিভার প্রদর্শন টিভি সিরিয়ালে যোগদানের পথকে প্রশস্ত করে।

5.একান্নবর্তী পরিবারের গল্প(Story of Join Family)-

বর্তমান বাস্তব সমাজ ব্যবস্থায় একান্নবর্তী পরিবার গুলি ক্ষুদ্র হতে হতে এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, আমরা তাদের নাম দিয়েছি মাইক্রো ফ্যামিলি। ঠিক এর বিপরীতে সমস্ত সিরিয়ালের মধ্যে সমসাময়িক বিরুদ্ধ পারিবারিক গল্প ফুটে ওঠে। একান্নবর্তী পরিবারের গল্প যেখানে তিন চার পুরুষ সদস্য এবং তাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়ে মাইক্রো ফ্যামিলি গুলোর কাছে শিক্ষণীয় হয়ে দাঁড়ায়। যেখানে একান্নবর্টি হয়ে থাকার সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করে অনেক সময় অপ্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বহু পরিবার, সেখানে টিভি সিরিয়াল তার উল্টো কথা বলে। ঊকান্নবর্তীতাকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

6.অভিনয় পারদর্শিতা(Efficiency of acting)

বেশির ভাগ সিনেমায় দেখা যায় বাস্তব অভিনয়ের বাইরে একটা রং মেশানো আনন্যাচারাল অভিনয়। যেখানে টিভি সিরিয়াল গুলোর মধ্যে অভিনয়ে সাধারণ এবং স্বাভাবিকতাকে আশ্রয় করে দর্শকদের মন জয় করার প্রচেষ্টা। হয়তো সিরিয়ালের অনেক অভিনেতা বড়পর্দাতেও দীর্ঘকালব্যাপী অভিনয় করে আসছেন, কিন্তু কখনো কখনো বাণিজ্যিক বড় পর্দার ছবিগুলোর অভিনয়ও তাদেরকে কৃত্রিম মনে হয়। তুলনায় টিভি সিরিয়ালের গল্পের মধ্যে খিচুড়ি থাকলেও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রশংসা না করে পারা যায় না।

এখানেই শেষ কথা নয় শেষের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। থাকা উচিতও নয়। বিতর্ক চলুক, ঝগড়া নয়। সমালোচনা চলুক নিন্দা নয়। জীবন-জীবিকা চলুক, মানসিক টানাপোড়েনের জন্ম এবং বৃদ্ধি নয়। সুশীল হওয়ার শিক্ষা চলুক,  দুর্নীতিবাজ নয়। টিভি সিরিয়াল চলুক সামাজিকতার ধ্বংস নয়। স্বাধীন হওয়ার শিক্ষাও চলুক, তবে স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় দিয়ে নয়। ধন্যবাদ।

Disclaimer-

টিভি সিরিয়াল ও এর সঙ্গে জীবন-জীবিকায় সম্পর্কযুক্ত কর্মীদের বা সিরিয়াল দর্শকদের মানসিক আঘাত দেওয়ার জন্য এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। সদর্থক মানসিকতা ও সদিচ্ছার গুরুত্বই প্রধান। শিল্পসৃষ্টির স্বাধীনতা এবং তার প্রকাশের উপর কোন বিরুদ্ধাচরণ নয়। থাকা উচিত নয়। কিন্তু সৃজনশীলতার পথে সম্পূর্ণ অনুকরণ ও গল্পের পুনরাবৃত্তি কাঙ্ক্ষিত নয়। এ বিষয়ে সকলকে দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর ক্ষুদ্র চেষ্টা মাত্র। আবারো ধন্যবাদ

Help Your Family and Friends:

Leave a Comment