Attitude meaning in Bengali– লিখলেই Google আপনাকে জানিয়ে দেবে ‘মনোভাব’। এর সঙ্গে অন্যান্য নানান ডিকশনারি, ব্লগসাইট, ওয়েবসাইট, বিভিন্ন দিকশনারি সাইটগুলি একই অর্থ প্রকাশ করে- ‘মনোভাব’ বা ‘আচরণ’। এ এক সহজ-সরল অর্থ। কোন অসুবিধা নেই বা থাকার কথা নয়। Attitude শব্দটির বাক্যে প্রয়োগের ডিকশনারিতে উদাহরণ আছে- She took a tough attitude towards other people’s indulgence. Attitude অন্যান্য অর্থগুলি হল- নাটক ঢং, ভঙ্গি, ধারণা, ঢং ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু আজ আমরা জানবো অ্যাটিচুড এই ইংরেজি শব্দটির প্রকৃত বাংলা অর্থ কি- What is attitude meaning in Bengali in Practically? এবং অ্যাটিটিউড এর ব্যবহারিক এবং প্রায়োগিক দিক গুলি।
আমরা সবাই জীবনে কম বেশি Attitude এই শব্দটি শুনে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানিনা Attitude এর প্রকৃত মানে কি? আমাদের জন্য ভালো, নাকি মন্দ। সেটি আজ আপনাদের সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
Attitude meaning in Bengali | অ্যাটিটিউডের বাংলা অর্থ-
সিংহকে জঙ্গলের রাজা বলা হয়। কেন? কারণ সেই বনের অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন, সিংহ কোনদিনও ঘাস খাবে না। সিংহ এটা জানে সেটা তার কোন অহংকার নয়। কারন সে নিজেকে জানে, নিজেকে চেনে। সে জানে সে কে।
এটি হলো একটি বিরল অর্থ। Attitude হলো নিজেই নিজেকে চেনা। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা। এবং নিজেকে সবার থেকে আলাদা ভাবে তুলে ধরা। এক অনন্য অদ্বিতীয় সত্তা, সফলতার অন্য নাম।
আপনিও যদি জীবনে সফলতা পেতে চান তাহলে আপনাকে ঐ সিংহের মতো হতে হবে। নিজেকে জানতে হবে। আপনি নিজে কি বা কে। সেটা এই পৃথিবী কে দেখাতে হবে এবং নিজেকে সবসময় একটিভ প্রশ্ন করতে হবে। আমায় আমিকে খুঁজে বার করতে হবে। কারণ যখন আপনি নিজেকে জানতে চাইবেন তখনই আপনি নিজেকে জানতে পারবেন। এবং সেটাই আপনাকে একজন সঠিক মানুষ তৈরি করবে।
আজকাল সবাই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়- You have attitude, so I don’t like you, because I I have no attitude. অথবা I hate you. কথাটা কি সত্যি মনে হয়? বিষয়টা বুঝবার চেষ্টা করি।
আপনি কি ভুলে গেছেন আপনার ছোটবেলার কথা। যখন আপনি 4-5 বছরের ছিলেন। তখন কেউ আপনাকে প্রশ্ন করে বলতো- ‘তোমার নাম কি? কত কিউট একটা বাচ্চা।’ কিন্তু তারপরও আপনি আপনার নাম বলতেন না। কারণ কি? কারণ এটাই আপনার প্রকৃত চরিত্র ছিল। সেটাই আপনার প্রকৃত সত্য ছিল। আপনি নিজের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন। আজও আপনি সেই বাচ্চাটি আছেন। শুধু পার্থক্য এই টুকু তখন আপনি শুধুমাত্র নিজের কথা শুনতেন। নিজেকেই ভালো লাগতো। আর এখন নিজের থেকে অন্যের কথা বেশি শুনেন। সব সময় কিভাবে লোকে কি বলবে আর এই জন্যই আমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন।
কেন সাফল্যের জন্য অ্যাটিটিউড প্রয়োজন-
- তাই আপনি যদি পৃথিবীতে কিছু করে দেখাতে চান, তাহলে আপনাকে ঐ সিংহের মতো হতে হবে। বাচ্চাটির মতো হতে হবে। সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে- আমি কে? সবার মধ্যেই আছে প্রকৃত সত্ত্বা, এক এক অদ্বিতীয় মনোভাব, এক অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য। শুধু সবাই ব্যবহার করতে পারে না।
- Attitude সেটা নয় যে আপনি রাস্তায় কাউকে কথা বলবেন না। ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস করলে তাকে রিপ্লাই দেবেন না। যখন আপনি কাউকে ভালবাসবেন, সামান্য কারণে আই হেট ইউ বলবেন না। এটি ঠিক নয়। মনে করুন আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা ভাবছেন। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তখন আপনার সামনে দিয়ে কোন পরিচিত লোক যাচ্ছে অথবা কোন বন্ধু। আপনি তার সঙ্গে কোন কথা বললেন না। পরে অন্যসময় তার সঙ্গে কথা বলবেন। এই মুহূর্তে তার সাথে পরে কথা বলতে পারলেন না, কারন এখন যে চিন্তাতে আপনি আছেন সেটি ভুলে গেলে আপনি আর মনে করতে পারবে না। কিন্তু আপনার বন্ধুর মনে হবে আপনি তাকে গ্রহণ করলেন না। তাকে Attitude দেখালেন।
- আবার মনে করুন হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকে আপনার 500 এসএমএস এসেছে। আপনি 100 টার উত্তর করলেন। বাকিগুলো করলেন না। আপনি তাদের ইগনোর করলেন এটা নয়। বরং এই জন্য যে আপনার কাছে এতটা সময় নেই সবাইকে রিপ্লাই দেবার। এখানে সবাই ভাববে আপনি আপনার Attitude দেখাচ্ছেন।
- আবার মনে করুন আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড কে নিজের বুকে পাথর রেখে আই হেট ইউ বললেন, এই জন্য নয় যে আপনি তাকে সত্যিই ঘৃণা করেন। বরং এই জন্য যে আপনি দেখতে চান আপনার থেকে দূরে গিয়ে সে আপনাকে কতটা ভালোবাসে কিন্তু আপনার বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড ভাববে আপনি তাকে Attitude দেখালেন।
- যদি আপনার Attitude এটা হয় তাহলে আপনার এই হাসিটা থাকুক। দরকার নাই এরকম বন্ধু। দরকার নেই ওরকম ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ। দরকার নেই ওই রকম লোক। দরকার নেই ওরকম গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড। যারা ভাবে এটা আপনার Attitude। আপনার কোন কিছু যাওয়া আসার কথা না।
- Attitude একটি অর্থ হলো সেই শক্তি যা আপনাকে নিজের খোলস থেকে বার করে কিছু করে দেখানোর সাহস যোগান। আপনি যদি জীবনে কিছু করতে চান, নিজের জীবনের Attitude তৈরি করুন। আর দেখুন আপনার দ্বারা কিভাবে Success এসে দাঁড়ায়। তখন আপনি এমন একজন হয়ে যাবে যা আপনি এখন পারফেক্ট ম্যান। জীবনে যদি কিছু করতে চান তাহলে নিজের মনের আগুনের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে আসুন। আপনি পারবেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত থামবেন না যতক্ষন না আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে না যাবেন।
Attitude and Ego-
আমি যেটা করার কথা ভেবেছি আর আমি সেটাই করছি এটি হলো Attitude। Attitude খুব কম লোকের মধ্যে থাকে। আর এই লোকগুলো হলো সেই সমস্ত লোক যারা তাদের লক্ষ্য তাদের স্বপ্ন গুলোকে পূরণ করতে পারেন। নিজের প্রতিটি প্ল্যানকে বাস্তবায়িত করতে পারেন। আমি জানিনা আপনি Attitude সম্বন্ধে কি ভাবেন। কিন্তু আমি মনে করি Attitude হল আমাদের একটি মাইন্ডসেট যা মানুষ তারা তাদের আগামী দিনের জন্য সেট করে থাকে। এটি এমন একটা বিশ্বাস আপনার মধ্যেকার প্রতিটি কনফিউশনকে বিশ্বাসে পরিণত করতে সাহায্য করে। এটি হল এমন একটা চিন্তা যা প্রতিটি মানুষের মাঝে আসে যখন সে তার জীবনের লক্ষ্য তার স্বপ্ন গুলোর কথা ভাবে।
আপনি একটি কথা সব সময় শুনে থাকবেন যে সবাই বলে ঐ লোকটির মধ্যে খুব Attitude আছে। কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে না। জানি না ঐ ব্যক্তি নিজেকে কি মনে করে। কারো দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখে না। সব সময় নিজের মতো করে চলতে থাকে। অন্যদেরকে অনেক ছোট মনে করে। এই রকমই বেশিরভাগ মানুষের কাছ কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মতামত আসে। এরা কিছুই ভাবে না। এরা মনে করে Attitude অনেক খারাপ। এটা কোন মানুষের মধ্যেই থাকা উচিত নয়। কিন্তু সেই বিষয়টি ভালো করে বোঝার চেষ্টা করে না যে, তিনি যে বিষয়টির কথা বলছেন সেটি Attitude নয়। Attitude আপনাকে সেটা দেয়- আপনি যা চাইবেন তাই করতে পারবেন।
ইগো আর অ্যাটিটিউডের মধ্যে পার্থক্য-
Attitude নেগেটিভ কথা বলে না। যেখানে বলে- যেকোনো কাজ শুধুমাত্র আপনি করতে পারবেন আর কেউ নয়, সেটা Attitude নয় সেটাই Ego. Attitude বলে You can do it. কিন্তু যখনই- Only you can do it বলা হয় তখন সেটা Attitude থাকেনা, Ego তে পরিণত হয়। Attitude বলে ‘You are the best,’ কিন্তু Only you are the best’ বলা হলেই সেটা Ego.
Attitude আপনাকে বলবে আপনি আপনার ভবিষ্যতের জন্য যা কিছু ভাবছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেটা আপনি করতে পারবেন Attitude আপনার মধ্যে কোনো সন্দেহকে অর্থাৎ আমি করতে পারব কি’না এই সন্দেহটা বিশ্বাসে পরিণত করে যে আপনি এটা করতে পারবেন। আর আপনি এটা করবেন Positive Attitude দিয়ে। আপনাকে নিজের সঙ্গে আপনার চারপাশের লোকজনকে অসম্মান করা শেখাবে না। পজিটিভ অ্যাটিটিউড আপনাকে বলবে যদি আপনি কোন কাজ শুরু করেন তাহলে আপনি সেখান থেকে হয় সফল হবেন না হলে সেখান থেকে কিছু শিক্ষা অর্জন করবেন। আপনি কখনো হেরে যাবেন না।
আরো পড়ুন- ভারতের শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্ব এক অদ্ভুৎ সমস্যা।
ভারতের প্সারধান ১০টি মাজিক সমস্যা।
ইগো মনুষ্যত্ত্ব শেষ করে-
অন্যদিকে Ego Attitude এর সম্পূর্ণ উল্টো। এটা মানুষের মাঝে থাকা শয়তানের মত। Ego আপনার মধ্যে ওভার কনফিডেন্স তৈরি করে। এটি আপনার মস্তিষ্কে এমন একটা চিন্তা তৈরি করেন যে আপনি অলরেডি একটি মহান মানুষ। আপনার লেভেলে আসার মত কেউ নেই। আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না। আরে যত লোক কাজ করছে এরা সবাই আপনার চাকর। আপনি তাদের বস।
Ego থেকে সবসময় দূরে থাকুন। নিজের জন্য একটু ভালোভাবে চিন্তা করুন। আর যদি মনে হয় আপনার মধ্যে সামান্য Ego জমেছে তাহলে সেটিকে দূর করুন। আর নিজের মধ্যে পজিটিভ Attitude নিয়ে আসুন।
একটি কথা বিশ্বাস করুন অ্যাটিটিউড অর্থ হলো নিজের উপরে ভরসা করে নিজের আশেপাশের কাজ করার লোক গুলোকে সম্মান দিয়ে তাদের সঙ্গে একসাথে কাজ করা। ধন্যবাদ।