সারা দেশে চলছে রাষ্ট্রীয় ইমারজেন্সি। উর্ধগামী দ্রব্য মূল্য মানুষকে নিক্ষেপ করেছে এক সাংঘাতিক সংকটের আঁধারে।
দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম ও অভাব। মানুষ বাধ্য হচ্ছে দেশ ছাড়তে।
আপনারা অনেকেই শুনছেন শ্রীলঙ্কা বর্তমানে এক সাংঘাতিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর কারণগুলি জানেন কি? আসুন এখনই জেনে নি।
অর্থনীতির প্রায় 12%-13%, পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিলে দেশে ইস্টার ডে বম্বিং বোমা হামলা হয়। এরপর এখানে পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
এরপরই ০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতিও শ্রীলঙ্কার পর্যটন ব্যাবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলে। আন্তর্জাতিক যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে অবস্থা আরো বিপন্ন হয়।
অনুযায়ী 15% হারে VAT কমিয়ে অর্ধেক করা। যুক্তি- বেশী কনজিউম হবে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে কনজিউম ক্ষমতা কমে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব ক্ষতি।
2019 সালে, ঋণ ছিল জিডিপির 94%। 2021 সাল নাগাদ, এটি জিডিপির 119%-এ পৌঁছেছিল। 2020 সালে, ঋণ ছিল $51 বিলিয়ন। 95% রাজস্ব ঋণ পরিশোধে ব্যয়।
হাম্বানটোটা আন্তর্জাতিক বন্দর নির্মাণ- 1.3 বিলিয়ন ডলার ঋণ। সেখান থেকে লাভ হয় না। ঋণ পরিশোধ হয় না। বর্তমান সরকার বন্দরের 80% মালিকানা চীনা কোম্পানীর কাছে বিক্রি।
রাতারাতি দেশব্যাপী কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।স্বল্প মেয়াদে, উৎপাদন 20% থেকে 30% কমে যেতে পারে। ধানে স্বয়ংসম্পূর্ন হয়েও 450 মিলিয়ন ডলার চাল আমদানী।
ভারতের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো এত ভয়ংকর নয়। তবে সব সম্পদের ক্ষেত্রে ভারত স্বয়ং সম্পূর্ণও নয়। তাহলে উপায়?