ভোটে প্রার্থী হওয়ার বাধ্যতামূলক পরীক্ষা- Why Do We Need Election

এই নিবন্ধে আমরা কেন নির্বাচন চাই(Why Do We Need Election) এ প্রসঙ্গে আলোচনার সাথে সাথে MLA, MPদের কাছ থেকে কী পাই সে বিষয়েও আলোকপাত করব। এবং কেমনভাবে MLA, MP রা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তাদের মনোনয়ন কেমন হওয়া উচিত, আমরা নাগরিক হিসাবে আমাদের নেতারা কেমন হবেন সে বিষয়ে আমাদের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে।

এম.এল., এম.পি’দের(MLA, MP) ভোটের প্রার্থী হওয়ার জন্য পরীক্ষা নেওয়া উচিত। শিরোনাম দেখেই হয়তো বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য, মুচকি হাসি এবং দ্বন্দ্ব- বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তেই সিদ্ধান্তে আসার আগে সমস্ত ব্লগটি পরে তারপরে মন্তব্য করুন। আপনাদের নিজস্ব মতামত জানান।

Why Do We Need Election

নির্বাচন হল পরোক্ষ গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে যারা তাদের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এর জন্য প্রয়োজন এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে জনগণ নিয়মিত বিরতিতে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিকে নির্বাচন বলা হয়।

তাই যেকোনো প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের জন্য সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচন অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়। একটি নির্বাচনে ভোটাররা যে দায়িত্ব পালন করে- কারা তাদের জন্য আইন প্রণয়ন করবে তারা বেছে নিতে পারে। তারা নির্বাচন করতে পারে কে সরকার গঠন করবে। তারা সেই দলকে বেছে নিতে পারে যার নীতি সরকার ও আইন প্রণয়নের পথ দেখাবে।

অন্যভাবে বলা যায়- নির্বাচন হল প্রতিনিধি নির্বাচনের একটি গণতান্ত্রিক উপায়। নির্বাচন নিশ্চিত করে জনগণের ইচ্ছানুযায়ী প্রতিনিধিরা শাসন করে। নির্বাচন ভোটারদের এমন প্রতিনিধি নির্বাচন করতে সাহায্য করে যারা তাদের জন্য আইন প্রণয়ন করবে, সরকার গঠন করবে এবং বড় সিদ্ধান্ত নেবে।

How to Become MLA/MP

MLA হওয়ার যোগ্যতাগুলি নিম্ন লিখিত-

  • ব্যক্তিকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
  • এম. এল. এ.-র ক্ষেত্রে 25 বছর বয়স হতে হবে এবং এম. এল. সি. -র ক্ষেত্রে ন্যূনতম 30 বছর।
  • কোনও ব্যক্তি কোনও রাজ্যের বিধানসভা বা আইন পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না যদি না ব্যক্তি রাজ্যের কোনও নির্বাচনী এলাকার ভোটার না হন।
  • যারা সংসদের সদস্য হতে পারে না তারা রাজ্য আইনসভার সদস্য হতে পারে না।
  • ব্যক্তিকে কোনো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে হবে না এবং 1 বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে হবে না।

MP Eligibility

লোকসভার সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত সমস্ত শর্ত পূরণ করতে হবে-

  • ভারতের নাগরিক হতে হবে। বয়স
  • 25 বছরের কম হলে হবে না।
  • একজন সুস্থ মানুষ হতে হবে।
  • দুই বা ততোধিক বছরের কারাদণ্ডে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়া উচিত নয়।
  • ভারতের যেকোনো সংসদীয় আসনের ভোটার হতে হবে।
  • একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর মনোনয়নের জন্য তার নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন প্রস্তাবক প্রয়োজন।
  • একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর দশজন প্রস্তাবক প্রয়োজন।
  • প্রার্থীদের ₹25,000 টাকার একটি নিরাপত্তা আমানত করতে হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বিষয়ই উল্লেখ নেই।

কেন এম.এ’লে এম.পিদের(MLA, MP) ভোটের প্রার্থী হওয়ার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা হওয়া প্রয়োজন?

এরা দেশের সেবার জন্য নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে। জনগণের সেবা করবে তার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা অবশ্যই দরকার। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন, বেতন পাবেন, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, পেনশন পাবেন। দু বছর পদে থাকলেই নিশ্চিত আর্থিক সুখী জীবন নিজের ও পরিবারের। সঙ্গে রয়েছে আর্থিকবল, লোকবল ও প্রভাব। জনসেবার জন্য যেকোনো ধরনের কাজের ক্ষেত্রেই প্রতিটি নাগরিককে ন্যূনতম যোগ্যতা নিয়ে পরীক্ষায় পাস করতে হয়। এবং জনগণও নিশ্চিত হয় সেই ব্যক্তিকে সেবা দেওয়ার অধিকার দেওয়ার জন্য। যেমন ডাক্তার, শিক্ষক বা সরকারি যে কোনো কর্মী হোক না কেন।

Why Do We Need Election

অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে পরীক্ষা আছে

অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা প্রয়োজন। পরীক্ষায় ইন্টারভিউ, মেডিকেল ফিটনেস টেস্ট তারপর চাকরিতে নিয়োগ। চাকরির ক্ষেত্রে ৬০ বা কখনো ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করলে তবে পেনশন। তবুও বেতনের কিছু টাকা সরকার কেটে রাখে প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ।

তাহলে এম.এল.এ, এমপিদের জন্য একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা কেন নয়? তাছাড়া তাদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা জরুরী। দেশকে সেবা করবে, জনগণের সেবাইত। কোন যোগ্যতার উপর নির্ভর করে দায়িত্বপূর্ণ পদে আসিন হচ্ছেন, সেটা যাচাই হওয়া দরকার। সত্যিই তার সে যোগ্যতা আছে কি নেই, তা জানা অবশ্যই জরুরী ও বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

এরাই পার্লামেন্টে যাবে, জনগণের উপর নিজেদের তৈরি আইন চাপাবে, নিজেরা প্রভাব খাটিয়ে আবার সেই আইন ছিন্ন করে বেরিয়ে যাবে। জনগণকে নাস্তানাবুদ করবে আর নিজেদের দেশ নেতা হিসেবে জাহির করবেন।

মনোনয়ন কেমন হওয়া উচিত-

প্রতিটি পার্টির কম করে দুজন ও সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবেন। প্রত্যেকের জন্য পরীক্ষা হবে একই প্রশ্ন পত্রে। 

প্রশ্নের ধরন-

যে এলাকার এম.এল.এ এম.পি হবেন তারা সেখানকার সম্যক ইতিহাস, ভূগোল, সেখানকার অর্থনীতি, মানুষের অভাব অনটন, সামাজিক জীবন যাপন প্রণালীর উপর ধারণা থাকতে হবে।

সংবিধান সংক্রান্ত প্রশ্ন-

এম এল এ’দের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও এমপিদের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভূ-রাজনীতি নিয়েও প্রশ্ন থাকা প্রয়োজন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা-

কমপক্ষে গ্রাজুয়েট‌ হতে হবে। তারপরও ভোটকেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ার পরীক্ষায় বসতে হবে। পাশ করতে হবে।

প্রথমে বলা হয়েছে প্রতিটি পার্টির থেকে কমপক্ষে দুজনে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রার্থী। প্রার্থীদের এক একটি প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ হবার পর সে নির্দিষ্ট পার্টির প্রথম স্থানাধিকারীর নামে চূড়ান্ত মনোনয়ন জমা হবে এবং তিনি নির্বাচনে প্রকৃত প্রার্থী হিসেবে সিলেক্ট হবেন।

ধরা যাক পাঁচটি পার্টির পাঁচজন করে প্রাথমিক মনোনয়ন জমা দিলে মোট ২৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়বে। প্রতিটি পার্টির প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম স্থানাধিকারী থাকবে সেখান। সেখান থেকে কেবলমাত্র প্রথম স্থানাধিকারীদেরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য।

পরীক্ষা পরিচালনা কে করবে?

নির্দিষ্ট এলাকার ইলেকশন কমিশন। কেন্দ্রীয় ইলেকশন কমিশন সর্বোচ্চ স্তরে থেকে যেভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন সেভাবে পরীক্ষা পদ্ধতিও পরিচালনা করবেন। সরকারি আমলেদের দ্বারা পরীক্ষা পরিচালিত হবে। তবে প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন ভিন্ন প্রান্তের স্কুল অথবা কলেজ শিক্ষকরা অতি গোপনীয়তার সঙ্গে এবং গোপনীয়তা বজায় রেখে মূল্যায়ন করবেন বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল কলেজ শিক্ষকরা। প্রশ্নকর্তা ও পরীক্ষকদের পরিচয় অত্যন্ত গোপন থাকার ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যান্য সরকারী স্কুল কলেজে পরীক্ষা চাকরির পরীক্ষা এমন কি নির্বাচন নেবার সময় যেভাবে করা নিরাপত্তার আয়োজন করা হয় এই পরীক্ষাটিও সেভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কঠোর নিশ্চয়তা দেওয়া দরকার।

খরচ-

সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রকল্প এমনকি নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় সেভাবে এখানেও খরচ হবে। কিন্তু নির্বাচনে খরচ করার পরেও যেভাবে প্রশাসনিক ব্যর্থতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি জনগণকে পোহাতে হয় তাতে এম.এল.এ এম.পি নির্বাচনী মনোনয়ন পরীক্ষার জন্য হলেই বা। আশা করি জনগণের এই খরচের ব্যাপারে সেরকম আপত্তি থাকার কথা।

যারা আমাদের মাথার উপর থাকবেন, জনগণের টাকায় বেতন নেবেন, সরকারি নানান সুযোগ সুবিধা নেবেন, পেনশন নেবেন, আবার যাদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন তাদেরকেই দাঁত দেখাবেন, তো তাদের ন্যূনতম যোগ্যতা পরীক্ষা হবে না? জনগণ তাদের যোগ্যতা যাচাই করবে না? আশা করি এই পরীক্ষার জন্য জনগণ সে খরচ করবার মানসিকতা রাখবেন।

এদের কোন যোগ্যতার পরীক্ষা হয় না। আর এরাই পার্লামেন্টে গিয়ে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষায় নিয়ম নীতি, চাকরির মেয়াদ, বেতন পরিকাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। আর নিজেদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা গুলি সীমাহীন ভাবে বৃদ্ধি করে ফেলেন। তখন সমস্ত পার্টির নেতা-নেত্রীরা এক হয়ে এক ছাতার তলায় এসে দাঁড়িয়ে পড়েন।

সমস্ত ধরনের নির্বাচনেই এই পরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন-

বিধানসভা লোকসভা পঞ্চায়েত মিউনিসিপালিটি ইত্যাদি ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রাজুয়েট হওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এবার অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে এম.এল.এ এম.পি মন্ত্রীরাতো প্রায় সকলেই গ্রাজুয়েট এবং তারও বেশি যোগ্যতা থাকে। হতেই পারেন। খুবই ভালো। সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অবশ্যই তিনি সেই পরীক্ষায় ভালো হবে ফলাফল করবেন।

MLA/MP দের প্রতি মানুষের ধারণা

কিন্তু সার্বজনীনভাবে সকলের জন্যই সে পরীক্ষা হওয়া জরুরী। কেননা মানুষের মনে প্রশ্ন আছে- কিছু অযোগ্য নেতারা এম.এল.এ এম.পি হন মন্ত্রী হন এবং শুধু শুধু সরকারের অন্ন ধ্বংস করেন। সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। প্রভাব খাটান। কিন্তু কাজকর্ম সরকারী আমলারাই করে থাকেন। কোন কোন সেবা সঠিকভাবে পালন করেন? সাধারণের ধারণা তারা অযোগ্য ব্যক্তি। এই অযোগ্য কালিমা উৎখাত করার জন্য রাজনৈতিক প্রশাসনের আসন গুলিতে স্বচ্ছতা আনার জন্য পরীক্ষায় কৃতকার্য অত্যন্ত জরুরি।

প্রয়োজন রাজ্য বিধানসভা, কেন্দ্রীয় লোকসভা রাজ্যসভায় বিল পাসের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। তবেই তা আইনে পরিণত হবে। এর জন্য এ সমস্ত কার্যকরণ পদ্ধতি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং তা অবশ্যই গ্রহণ করার দরকার। এর জন্য সময় লাগবে। প্রয়োজন সর্বদলীয় বৈঠক বা জনগণের মতামত।

সব নেতা মন্ত্রীরা কি মেনে নেবেন

সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা ক্ষেত্রে বলা যায় সব দলের দু-একজন নেতা মন্ত্রী বাদ দিলে বাকিদের কেউই এই পদ্ধতিকে মেনে নেবেন না। এবং বাস্তবে চালু করতে দেবেন না‌। স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই বা বাস্তবতা করার কোন ইচ্ছাই থাকবে না। শিক্ষার তুলনায় অর্থবলকেই তারা প্রাধান্য দেয়। বলা যেতে পারে শিক্ষাকে ভীষণভাবে ভয় করে।

তাহলে সমর্থনে একমাত্র সোচ্চার হতে পারে জনগণ। যাদের অভাব রয়েছে, পাওয়ার অধিকার রয়েছে, অথচ বঞ্চিত হচ্ছে। তারাই একমাত্র আওয়াজ তুলে নেতা নির্বাচনে পদ্ধতিগত আমল পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং এই পরিবর্তনের শরীক হতে পারেন।

বুদ্ধিজীবী মানুষদের প্রসঙ্গে

এখানে এক শ্রেনীর মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে- যাদের অনেকেরই প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই বা নাও থাকতে পারে। অথচ সমাজের এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে সামাজিক কার্যাদি পালনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। তারা হলেন কবি সাহিত্যিক শিল্পী মানুষজন। এদের সংখ্যায় কম কিন্তু নিজেরা এক একটি প্রতিষ্ঠান। মান সম্মানেও অগ্রগণ্য। এরা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তাদেরও কি এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত? এ বিষয়ে পাঠকদের মতামত কামনা করি। যদিও রাজ্যসভায় এম.পি নির্বাচনে বুদ্ধিজীবীদের বিশেষ আসন রয়েছে।

শেষ নয়

আবারো বলি এম.এল.এ এম.পি’রা একবার নির্বাচিত হলেই পেনশন, সরকারের সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি ভোগ করা প্রসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নির্বাচনী পরীক্ষার উপস্থাপনের কথা বিশেষভাবে বলা হচ্ছে। সরকারি চাকরির জন্য যেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হয় ইন্টারভিউ, মেডিকেল, গ্রুপ ডিসকাশন ইত্যাদি নানান পন্থা অবলম্বন করা হয়, চাকরির মেয়াদ শেষ করার পরও পেনশন নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে, সেখানে এমএলএ এমপি হয়ে গেলেই নিজের ভবিষ্যৎ জীবন এবং তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য স্বচ্ছল জীবন যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান কতটা যুক্তিযুক্ত?

আরও পড়ুন- সংসদীয় গণতন্ত্র- সুখ শান্তি

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *