Indian Education System Problems and Continuation are taking India back behind development. India is a developing country- Result of whole System is also an effect on Indian Education Problems.
সুইজারল্যান্ডে মোট জনসংখ্যার তুলনায় ভারতে প্রতিবছর তার তুলনায় সংখ্যায় অনেক বেশি ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হয়। তবুও সুইজারল্যান্ডে রিসার্চ’ এবং ইনোভেশন ভারতের তুলনায় গুণগত মান এবং সংখ্যায় অনেক উচ্চমানের। ASER(Annual Status of Education Report) রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে যতসংখ্যক ইঞ্জিনিয়ার পাশ করে বেরিয়ে আসে, তার 83% কোন কাজকর্ম পায় না, চাকরি পায় না। অন্যদিকে সুন্দরলাল পিচাই এর মত ছাত্ররাও ভারতে উচ্চশিক্ষা পায় না। এরজন্য বিদেশে পড়াশোনা করতে যায়। ভারতের ওই লেভেলের শিক্ষা দেওয়ার মতো কোনো নিশ্চয়তা, প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষকও নেই।
From When Indian Education System Problems Continuing?
1757 সাল থেকে ইন্ডিয়া কোম্পানি আমাদের দেশের সম্পূর্ণভাবে ব্যবসা করার বৈধতা আদায় করে। প্রাথমিকভাবে তাদের কোম্পানির শ্রীবৃদ্ধির জন্য যেটা প্রয়োজন ছিল, তা হল ক্লার্ক, ওয়ার্কার্স এবং কমিউনিকেশন। কারণ কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য ক্লার্কের দ্বারা সংরক্ষিত হবে, কায়িক পরিশ্রম ও কারখানাসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করার জন্য ওয়ার্কার্স লাগবে এবং এই দুই শ্রেণীর কর্মচারী সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন ইংরেজি ভাষা শিক্ষা। কেননা কোম্পানির মালিক পক্ষের কাছে নিজেদের মুনাফা বুদ্ধির জন্য এ ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিলনা
ক্লার্ক এবং কায়িক পরিশ্রমে কর্মীদের কাছ থেকে তাদের একটাই আশা ছিল তারা কাজ করবে। কিন্তু কোনো প্রশ্ন করবেনা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের উপর কেবলমাত্র প্রভুত্ব চালাবেন এবং এর জন্য ইন্ডিয়ান ওয়ার্কারদে্য যেটা জানানোর, শেখানোর প্রয়োজন ছিল তা হলো ইংরেজিতে কথা বলা এবং শিক্ষা। তখন থেকেই ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যার সুচনা।
You are backdated if you can not speak in English-
যদিও পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই তাদের নিজের নিজের দেশের ভাষায় কথা বলে। তখন ইংরেজি জানা বা বলা লোকের সংখ্যা খুব কম ছিল। তা সত্ত্বেও ইংরেজি একটা ক্লাস ল্যাঙ্গুয়েজে পরিণত হয়েছিল। রাশিয়া চীন ফ্রান্স জাপান এরা নিজেদের ভাষায় কথা বলে। কিন্তু ভারতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজির হল প্রধান। এখনো সেই ধারা প্রচলিত। ইংরেজি ভালো বলতে না পারলে ওর কমিউনিকেশন স্কিল খুবই খারাপ। এখনো পর্যন্ত কত লোক ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। পারে না মানে আপনি অন্য কোন ভাষা জানেন। সেটা তার মান মর্যাদা পক্ষে হানিকর বলে মনে করা হয়।
The Education System is Backdated, but no Revolution-
একটা মোবাইল দু’বছর তিন বছর হয়ে গেলে সেটাকে ব্যাকডেটেড বলা হয়। কিন্তু বর্তমান এডুকেশন সিস্টেম যেটা চালু করেছিল অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ইংরেজিতে এবং ক্লার্ক তৈরীর জন্য। সেটা এখনো পর্যন্ত সেটা সামান্য কিছু পরিবর্তন হলেও সেখানেই আছে। কিন্তু এখন আর সেটা সরকার, এমনকি সাধারণ জনগণও ছেড়ে দিতে পারছে না।
95 শতাংশ সংস্কৃত পড়া ছেলেমেয়েরা সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে পারে না। 85% ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা ছেলেরা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। মোটা মোটা বই আছে। প্রতি ক্লাসেই ইংরেজি বই আছে। 12 বছরের স্কুল ইংরেজি শেখার পরও ইংরেজি বুঝতেও পারে না কথা বলতেও পারেনা। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের ছেলেমেয়েরা 5 বছরের থেকে ইংরেজি বলতে পারে। ইংরেজিতে চাকচিক্য তার যে জৌলুস, তাইতো সকল শ্রেণীর মানুষের বিশেষ করে সরকারি চাকুরিজীবি, প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পাঠানোর চেষ্টা করেন। সরকারি চাকুরিজীবিরা শিক্ষার প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না, ছুটছেন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের দিকে।
এখন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পদ্ধতির সঙ্গে আমাদের স্কুল কলেজের পড়াশোনা পদ্ধতি যথেষ্ট পার্থক্য থেকে যাচ্ছে। সরকারও এ বিষয়ে অবগত। কিন্তু সরকারি স্কুলগুলোতে এই পদ্ধতি এবং পরিকাঠামোর এখনো পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন করছেন না। বেসরকারি ও সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা নেই তাই তুলনাও নেই। এও ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা।
Same Education Distributed among all of the Students-
This is another issue of Indian Education System Problems-
যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা লুকিয়ে লুকিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখে পরীক্ষা দেয় তারা সামনের জীবনে হামাগুড়ি দিয়ে পথ চলতে শুরু করে। বাঘ সিংহ কুকুর ছাগল এক লাইনে সারি দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখলে তাদের গাছে উঠতে বললে যেমন গাছের উড়তে পারেনা, আমাদের এই সিস্টেমে শিক্ষা নিয়ে একজন ছাত্র ছাত্রী সেই একই অবস্থা। কারণ সকলকেই একই ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়। তারমধ্যে উৎসাহ থাকুক বা না থাকুক, পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়, তার ক্রিয়েটিভিটির কোন দাম থাকে না। আসলে তার ক্রিয়েটিভিটি দেখাই হয় না। সকলকেই একই ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়।
Where is Donacharya, the Legend?-
দ্রোণাচার্য কিন্তু তার শিষ্যদের দক্ষতা অনুযায়ী শিক্ষা দিয়েছিলেন। সকলকে এক শিক্ষা নয়। বর্তমানে আমাদের দ্রোণাচার্যের সংখ্যা নেই বললেই চলে। যদিও এক দু’জন আছেন। কিন্তু তারা শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে এমন ভাবে জড়িয়ে পড়েছেন এই পদ্ধতির বাইরে বেরিয়ে অতিরিক্ত কিছু সৃষ্টি করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
Arts Students always neglected- a Peculiar Mind Set up of Indian Education System Problems-
এ শিক্ষা পদ্ধতির বাইরে আমাদের কোন অপশন নেই। সবচেয়ে উপরে রয়েছে সাইন্স, তারপর কমার্স, সবার নিচে আর্টস। মনে করা হয় যারা আর্টস নেয় তারা কোন কাজের নয় বলে সমাজে প্রচলিত। সকল মা বাবা তার ছেলেমেয়েকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে চায়। এর জন্য যা করণীয় তাই করবেন। একটা কলেজে অতিরিক্ত একটা কোর্স চালু করলেও অভিভাবকরা টাকা পয়সা খরচা করতে চান না বলে সেখানে ভর্তি করান না। তার কারণ ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে কি, হবে না এ নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
Actually We are taught from our childhood bonding with this System-
ছোটবেলা থেকেই পরিবার, আশেপাশের প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ইত্যাদিদের কাছ থেকে ট্রেনিং শুরু হয়- পড়াশোনাতে মার্কস না এলে সেই পড়াশোনার কোনো দামই নেই। সেই পড়াশোনায় কাজকর্ম কোথাও পাবে না। জীবন বৃথা হয়ে যাবে। সকল আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব একই কথা বলে এবং এই ধারাবাহিকতা সেই ছেলেটি তার পরবর্তী প্রজন্মকেও দিয়ে আসছে।
ছেলে-মেয়ের ক্রিয়েটিভিটি দেখা দূরের কথা আগে মার্কস চাকরি, তারপর অন্য কিছু। চাকরি না পেলে আত্মীয়-স্বজন যত না উদ্বিগ্ন থাকে, ততই ওই ছেলেটিক নিচের দিকে নেমে যায়। তার থেকে নিজেই নিজেকে ছোট ভাবতে শুরু করে। অবশেষে নিজের কাছে নিজে হেরে যায়। ছোট হতে হতে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়।
Legends always Learn instead of Traditional System-
আপনি একবার লক্ষ্য করে দেখেছেন কি- যে সমস্ত লোকজন জীবনে সফল হয়েছে, যে সমস্ত ব্যক্তিত্ব উন্নতির চূড়ায় উঠেছে, দেখুন যাদের নাম সামনে আসবে তারা কিন্তু কেউই আমাদের প্রচলিত শিক্ষার সাথে একজনও যুক্ত নয়। যেমন ধীরুভাই আম্বানি, বিরাট কোহলি, আমির খান, শচীন তেন্ডুলকর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইত্যাদি। এরা সবাই নিজে নিজে শিখেছেন। নিজেই নিজের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং সফলতা পেয়েছেন।
আর একটু অন্যভাবে বলা যায়। ধরা যাক একজন ব্যক্তি কোন একটি কোম্পানির সি ই ও। তাকে যদি সেই কোম্পানির বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্য বলা হয়। না জানি কটাতে সেই ব্যক্তি পাশ করবেন। হয়তো সবগুলোতেই অসফল হবেন। কিন্তু একটি কোম্পানি কিভাবে চালাতে হয় সেই টেকনিক দক্ষতা তার আছে। খুব সহজেই সেই কোম্পানি চালিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং আগামীদিনেও চালিয়ে দিতে পারবেন। এটাই স্কিল। এর উপরে জোর দেওয়ার কথা বা গুরুত্ব দেবার কথা কেউ বলেন না।
মানুষ জীবনের 25% কারেন্ট এডুকেশন সিস্টেম লাগিয়ে দেয়। পরে তার চেয়ে কম লেখাপড়া জানা ব্যক্তির কাছে চাকরির জন্য হত্যে দেয়। এই হলো আমাদের শিক্ষা।
The Leaders do not trust Our Education System, but They create Systems-
সেলিব্রিটি পলিটিশিয়ান একটু উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা কিন্তু আমাদের দেশে পড়াশোনা করে না। তাদের অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার জন্য বিদেশে পাঠান। ভারতের বাইরে কেন? কেননা আমাদের পড়াশোনার প্রতি তাদের আস্থা নেই। পূর্বেই বলেছি সরকারি কর্মচারীদের কথা। তাদের ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট স্কুলে পড়ায়। অন্যদিকে পলিটিশিয়ানদের কথা উল্লেখ করা যায়। তাদের ছেলেমেয়েরাও কিন্তু আমাদের দেশে পড়াশোনা করে না। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যায়। পলিটিশিয়ানদের জন্য এমন আইন হওয়া দরকার, যে এলাকা থেকে তারা জয়ী হচ্ছেন, সেই এলাকাতে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানো বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। তবেই সরকারের স্কুল কলেজগুলোর বদল হবে। পরিবর্তন হবে। শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি নতুন জীবন শুরু হবে।
They are Higher Educated, but bound to seek a job of Peon-
আমরা এখনো পর্যন্ত দেখি এক হাজার গ্রুপ ডি/ পিয়নের পোস্টে 200000 পর্যন্ত গ্রাজুয়েট এবং 50000পোস্ট গ্যাজুয়েট, 20000 পিএইচডি হোল্ডার অ্যাপ্লিকেশন করে। কারণ কি? ছেলে মেয়েদের একটাই উদ্দেশ্য গভমেন্ট জব। এর পেছনের উদ্দেশ্য কি? কারণ জব সিকিউরিটি। কাজ না করলেও চাকরি যাবে না। এই কাজ চুরি মানসিকতায় আমাদের পিছিয়ে থাকার কারণ। দেশ কখনোই এগিয়ে যাবে না। কেন এমন? কারণ আমাদের মূল শিক্ষা কাঠামো, সেই শিক্ষাপদ্ধতি আমাদেরকে কখনোই নিশ্চয়তা দেয়না। আত্মনির্ভর আত্মবিশ্বাস গঠন করে না। ছেলেমেয়েরা এগিয়ে গিয়ে আগামী দিনে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করবে, সেই ভরসাটুকু আমাদের এডুকেশন সিস্টেম দিতে পারেনা।
Indian Education System Problems will remains same if System is not Relevant-
আগামী দশ বছরের কথা বাদই দিলাম। 5 বছর পর টেকনোলজিতে মে পরিবর্তন হবে তার জন্য আজকে এই এডুকেশন সিস্টেম উপযুক্ত কিনা তা আমরা বলতে পারি না। আসলে সেটা জানিনা। বর্তমানে এডুকেশন সিস্টেম আগামী পাঁচ বছর পরে কাজে লাগবে কি কাজে লাগবে না। বর্তমানে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লগিং সম্বন্ধে অনেক ছেলেমেয়েরাই জানে না। জানলেও নিজের প্রতি বিশ্বাসের অভাবে সরকারি চাকরির দিকেই তাকিয়ে থাকে। সমসাময়িক সারা বিশ্বে যে ধরনের কাজকর্ম চলছে, সে কাজ কর্মের প্রতি তাদের আকর্ষণ নেই। বিশ্বাস নেই। তাই ইনভলভমেন্ট নেই।
আরো পড়ুন- করোনা সচেত্নতার সাথে আতঙ্ক।
ভারতের মহিলাদের অবস্থান।
আটিটিউড কি জীবনের জন্য সত্যিই খুব প্রয়োজনীয়।
এ বিষয়ে আপনাদের মতামত অবশ্যি কামনা করি, কিভাবে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাবো? যেখানে স্ক্লে একবাক্যে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে পারবো। এগিয়ে যাবো ভবিষতের আলর দিকে। ধন্যবাদ।