জীবন সংগ্রাম(Struggle With Life) এর সঙ্গে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে আমাদের সম্পর্ক নিবিড় এবং মধুর। জন্মের পর মুহূর্তেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে কান্না শুরু হওয়ার পরপরই এই সম্পর্কের সূচনা। খাদ্য অন্বেষণ এর মধ্য দিয়ে জীবন সংগ্রামের সূচনায়, মা আমাদের প্রথম সহায়ক। মায়ের কোমল হাতের স্পর্শেই শিশুর শরীর মন আর মস্তকে আবিষ্ট হয় জীবন সংগ্রামের(Struggle With Life) ছোট চারা গাছের প্রথম বীজ। ধীরে ধীরে জীবন সংগ্রামের বীজের অঙ্কুর। তারপর ছোট চারা গাছ, দীর্ঘ শাখা-প্রশাখা পল্লব থেকে মহীরুহ আমাদের সঙ্গে চলতে থাকে।
Struggle for existence, Struggle with life যাই বলি না কেন, আমাদের জীবন যাপনের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা চড়াই-উৎরাই পথ।
Failure of struggle with life, existence of any person will be destroyed. বাঁচো, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখো জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। পারস্পরিক মেলবন্ধন আদান-প্রদান সহায়তা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের সংগ্রাম নিজেকে পরিচালিত করতে হয়। এ আমাদের শেখায় প্রাথমিকভাবে প্রকৃতি। তারপর আসে আশেপাশে আত্মীয়-স্বজন, পরিবার, শিক্ষক, বিদ্যালয়, বন্ধু মহল ইত্যাদি।
কিন্তু সব মানুষের জীবন সংগ্রাম সমানভাবে সমস্ত ক্ষেত্রে গড়ে উঠতে পারে না। ব্যক্তিবিশেষে, পরিবেশগত বেড়ে ওঠা, আশেপাশের পরিস্থিতি একজন মানুষকে জীবন সংগ্রামে লড়ে যাওয়ার শক্তি যোগায়।
দুটো বিষয়(Two Situation of Struggle for existence)-
- 1. জীবন সংগ্রামের সহায়ক শক্তি, অন্যদিকে
- 2. যাকে কেন্দ্র করে, অর্থাৎ যে ব্যক্তি জীবন সংগ্রামের শরিক, তার নেওয়ার ক্ষমতাও সেই ব্যক্তিকে জয়ী হবার পথে সহায়তা প্রদান করে অথবা করে না। অর্থাৎ এক কথায় ব্যক্তির নেবার ক্ষমতা।
1.জীবন সংগ্রাম ও সহায়ক শক্তি | Power of Struggle with Life-
জীবন সংগ্রামের সহায়ক শক্তি ক্ষেত্রে মূলত দু’টি বিষয়ে বলা যেতে পারে। যথা-
ক) পারিপার্শ্বিক পরিবেশগত শক্তি-
এই পরিবেশগত শক্তি বলতে পরিবেশ থেকে প্রকৃতি যে শক্তি আমাদের প্রদান করে। একটি মানুষকে অন্যান্য মানুষ থেকে আলাদা করে রাখে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- ইমিউনিটি- সকল মানুষের ইমিউনিটি বা রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা এক নয়। এই বিষয়টি অনেকটা জিনগত এবং অনেকটা তার জীবন যাপনের ধরন, খাওয়া-দাওয়া, পুষ্টির ওপর নির্ভর করে। উপযুক্ত পুষ্টি হলেও অনাক্রমতা সৃষ্টি হয়। জীবন যুদ্ধে লড়াই করে বাঁচার শক্তি সঞ্চিত হয় অন্যদিকে
খ) সামাজিক শক্তি-
পরিবেশগত সামাজিক শক্তির মধ্যে প্রথমেই যেটা পড়ে তা হল বাবা-মা, পরিবার। পরিবার থেকে পাই প্রাথমিক শিক্ষা, আচার-আচরণ, বিনয়ী হওয়ার পাঠ। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য প্রাথমিক পাঠ টুকু শিখি। তারপর সেই ব্যক্তি যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধু এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের সান্নিধ্যে ধীরে ধীরে বাইরের বৃহত্তর সামাজিক পরিবেশ থেকে অন্যজনের অভিজ্ঞতা নিজের মধ্যে আবদ্ধ করে। জীবনের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এভাবে ব্যক্তি জীবন থেকে বৃহত্তর সামাজিক জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা গুলি একজন ব্যক্তি জীবনকে সমৃদ্ধ করে। জীবনের সাথে যুদ্ধ, লড়াই করার সহায়ক হয়, প্রেরণা যোগায়।
2. শক্তিগুলি নেবার ক্ষমতা(Ability to take the Power)
ব্যক্তিবিশেষ জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করার পার্থক্য নিশ্চিত। অর্থাৎ সমস্ত মানুষ কিভাবে একই পরিস্থিতিতে জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকেনা। ব্যক্তিবিশেষের পার্থক্য, তার শক্তিগুলোর ক্ষমতার উপর ব্যক্তি কিভাবে সংগ্রাম করবে তা নির্ভর করে। দুজন ব্যক্তিকে একটি সমস্যার সমাধান করতে বললে, তাদের অভিজ্ঞতা অর্জিত সমাধান সূত্র প্রয়োগ করে, সমাধানের চেষ্টা করে সমাধান করবে। উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বোঝানো যাক।
ধরা যাক, করোনা পরিস্থিতি পাবলিক যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ। কিন্তু অন্য কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য কেউ সাইকেল, কেউ বা মোটরসাইকেল, আবার কেউ হাঁটা পথ অবলম্বন করবে। আবার কারো হার্ট অ্যাটাক হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষ ভিন্নভাবে পন্থা অবলম্বন করতে পারে। কেউ প্রাইভেট হাসপাতাল, কেউ বা সরকারি হাসপাতাল। ঐ সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করার পন্থা।
শক্তি নেবার ক্ষমতা হিসাবে বলা যেতে পারে- একজন সাধারন নিরক্ষর ব্যক্তি তার ছেলেমেয়েকে উচ্চশিক্ষা দেবার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে বলা হল। সে ঠিক ভাবে তা গ্রহণ না করতে পারলে সন্তানকে উচ্চশিক্ষা লাভ করা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। অথবা কোন একজন ব্যক্তি জমির ইনফর্মেশন বের করবে, যার কোনো মোবাইল বা কম্পিউটার জ্ঞান নেই, তাকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হবে। কিংবা মুহুরীকে টাকা দিয়ে তার ইনফর্মেশন বের করতে হতে পারে। এরকম আরো অনেক উদাহরন দেওয়া যেতে পারে।
তবে সবার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নীতি আছে। সেগুলি সাক্ষর নিরক্ষর সমস্ত ব্যক্তিকেই জীবনের সাথে যুদ্ধে(Struggle With Life) একই ভাবে পালন করতে হয়। যেমন বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ স্বাভাবিক সাধারণ বিষয়। বাঘ তাড়া করেছে বাঁচার তাগিদে সাক্ষর নিরক্ষর সকলকে দৌড়াতে হয়।
The fields of a Struggle With Life | Struggle for Existence-
জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম বা জীবন সংগ্রাম আমাদের সামনে প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি দিক থেকে আসে ধরে নিয়ে আলোচনা আসি যথা-
১ প্রাকৃতিক বিষয় | Natural Factor-
প্রকৃতিবাদীদের মতে মানুষ প্রাকৃতিক জীব। আবার প্রকৃতির মধ্যে তাকে জীবন সংগ্রাম করে চলতে হয়। প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্রতিকূল বিষয় যেগুলো মানুষের জীবনের পথে অন্তরায় তার সাথে যুদ্ধ করে মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়েছে। এবং আগামী দিনেও হবে। এ প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া মানুষ সহজাতভাবে প্রকৃতির মধ্য থেকে পেয়ে থাকে।
কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে আদিম মানুষ প্রাকৃতিক শক্তি গুলির সাথে সবসময় নিজেকে রক্ষা করতে পারতো না। ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত, বন্যার মতো প্রাকৃতিক শক্তি গুলির সাথে সামনাসামনি জীবনসংগ্রাম। বর্তমানে সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এগুলি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু এগুলো এড়িয়ে অর্থাৎ নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করে, এগুলো থেকে নিজেকে বাঁচবার আবরণ তৈরি করেছে। এ জীবন সংগ্রামের প্রাথমিক পর্যায়। অর্থাৎ প্রাণরক্ষা। একে মানুষ নাম দিয়েছে প্রকৃতিকে জয়। বড় অহংকারী, আত্মগরিমা ও নিজেকে বড়াই করা। এ এক অদম্য চেষ্টা। কখনো এই সংগ্রামে জয়ী, আবার কখনো পরাজয়। এও প্রকৃতিকে নিয়মের আবর্তিত রূপ।
তাছাড়া প্রাকৃতিক অন্য বিষয় গুলির মধ্যে রয়েছে পশুপাখি, হিংস্র জন্তু জানোয়ার বা বিষাক্ত কীট থেকে বাঁচার উপায়। হিংস্র পশু থেকে বাঁচার লড়াই শুরু সেই আদিম যুগ থেকে। পুরনো পাথরের যুগ থেকে নতুন পাথরের যুগ, তাম্র যুগ, ব্রোঞ্জ যুগ, লৌহ যুগ। তারপর কত যুগ পেরিয়ে বর্তমানে আমরা এসেছি প্রযুক্তির এক আলোকময় রেডিয়েশন যুগে। বাঁচা-মরার সংগ্রামের ধারাবাহিকতা চলছে একই নিয়মে। কিন্তু মাধ্যমগুলোয় পরিবর্তন হয়েছে কেবল।
আবার অন্যদিকে আছে রোগ-জীবাণুর সাথে সংগ্রাম। ভাইরাসের জন্ম মনুষ্য দেদে আক্রমণ মৃত্যুর হাত থেকেও মানুষ বাঁচার তাগিদে বের করেছে নানান অস্ত্র। টিকাকরণ বা এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কার। এও এক জীবন-সংগ্রামেরই(Struggle With Life) প্রকাশ। এসবই প্রাণ ধারণের, প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ প্রয়াস। জয় পরাজয়ের আদিম অদম্য জীবন সংগ্রামের রিলে লেসেরআমরা বর্তমান এসে দাঁড়িয়েছি Covid-19-এ। আমাদের সামনে এক এক নতুন প্রজন্মের নতুন রূপে জীবন-সংগ্রামের রূপ। এর জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আপ্রাণ চেষ্টায় প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। জয়ী হবার আশায় আছি। কিন্তু সম্পূর্ণ জয় আমাদের সামনে ভেংচি কেটে অট্টহাসির দাপাদাপি করছে। কবে এর থেকে মুক্তি, কবে এ জীবন সংগ্রামের(Struggle With Life) অবসান হবে আমাদের জানা নেই।
2. কৃত্রিম বিষয়(Manmade Factor)-
এবার আসা যাক জীবন-সংগ্রামের মনুষ্য সৃষ্ট বিষয়গুলোর ওপর। প্রাকৃতিক জীবন হিসেবে ছেড়ে দিলে মানুষকে এখনো বনে-জঙ্গলে গুহায় বসবাসের মধ্যেই জীবন কাটাতে হতো। কিন্তু অন্যান্য জীবের তুলনায় এ প্রজাতি অনেক দূরত্ব বজায় রেখে চলে। যত দিন যায় প্রকৃতি থেকে তত দূরত্ব বাড়তে থাকে।
সেই দিন, যেদিন এ প্রজাতি প্রথম কাঁচা সবুজ বৃক্ষটির ওপর কোপ বসিয়েছিল, যেদিন প্রথম নদীটিকে নিজের ইচ্ছায় চালনা করার জন্য বাঁধ দিয়েছিল, যেদিন প্রথম লোহা বা কয়লার জন্য পৃথিবীর বুক চিরে পৃথিবীর হৃদপিণ্ডকে দুই হাতে খেলেছিল, সেদিন থেকেই সূচিত হয় তার অস্তিত্ব বিলুপ্তির শুভারাম্ভ। আমরা তার সাল-তারিখ জানি না। কিন্তু এটা জানি এখন প্রকৃতি বুমেরাং হয়ে তেড়ে আসছে আমাদের দিকে বাঁচার লড়াইয়ে। আমারা শক্তি বর্ধনের কাজ করে চলেছি। আর ততই তার ফাঁস বিপুল শক্তিতে আমাদের গলায় চেপে বসছে। জীবন সংগ্রামের কার্যপ্রণালীর শেষ নেই। এ ক্রমবর্ধমান সাপ খেলার ভিডিও গেমে সেই বর্ধিত সাপ।
রোগ-জীবাণুর বৃদ্ধি, বিশ্ব উষ্ণায়ন, পরিবেশ দূষণ প্রাকৃতিক সংগঠনের মধ্যে আবদ্ধ করলেও তা বর্তমানে বেশিরভাগ অংশই মনুষ্যসৃষ্ট কারণ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিশ্ব উষ্ণায়ন যতটা প্রাকৃতিক তার তুলনায় এই প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটানোর জন্য মানুষ বেশি দায়ী নয় কি?
পূর্বেই বলেছি, প্রকৃতির ওপর মানুষের ক্ষোভ বর্তমানে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। প্রকৃতি তার অস্তিত্ব রক্ষার জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ক্রিয়ায় নিজেকে নিয়োজিত করেছে আপ্রাণ প্রচেষ্টায়।
Struggle With Life in Education and Occupation-
উপরের আলোচনা গুলো জীবনের সাথে সংগ্রামে বৃহত্তর পেক্ষাপট নিয়ে সাধারন সমস্যা নিয়ে বলা হলো। কিন্তু Struggle With Life বলতে বর্তমানে যে বিষয়ের উপর বেশিরভাগ মানুষ জোর দেয় তা হল ছাত্র-ছাত্রী থেকে যুবক-যুবতীদের জীবন প্রতিষ্ঠার মধ্যে সম্পর্ক। ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে ভালোভাবে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের মাধ্যমে জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে। পড়াশোনা থেকে ব্যবসা, চাকরি বা অন্যান্য জীবিকার সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলি সমাধানের পথে যে সংগ্রাম তাই জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম বা জীবন সংগ্রাম বলে সাধারণভাবে অভিহিত।
Struggle from the problems of educational life to business, employment or other occupational job is generally called struggle it life. যদিও এই বিষয়টি একটি ক্ষুদ্র পরিসরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এই বিষয়টি ভবিষ্যতে সারা জীবন অতিবাহনের পথ কে নিয়ন্ত্রণ করে। জীবনযাপন প্রণালী যুক্ত সমস্ত ধরনের প্রভাব গুলোকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। যেমন দুজন ব্যক্তি একই মানের মেধাসম্পন্ন অথচ দুজন অসমান আর্থিক গুণসম্পন্ন পেশায় নিজেকে যুক্ত করলে, দুজনের জীবন যাপনের কিছু পার্থক্য থেকে থাকবে। তাদের জীবনের সঙ্গে সংগ্রামের পদ্ধতিগুলিও পৃথক হবে। Their struggle with life may be different in respect of their life style and their decision-making parameter also be different.
অর্থাৎ পেশাগত বৈচিত্র্য জীবনের সঙ্গে সংগ্রামকে বৈচিত্র ভরিয়ে তোলে। পেশাগত শ্রেণি গুলি একে অপরের সঙ্গে এক প্রাচীর বা বিভেদ তৈরি করে। ভিন্নভাবে জীবন সংগ্রামে এক একজনকে নিক্ষেপ করে।
অনেক সময় এখান থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়। বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। অন্যদিকে ব্যক্তির নতুন সম্পর্ক, নতুন সামাজিক বন্ধু তৈরি হয়। উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক- সমবয়সী বন্ধু একজন চাকরি পেল। আরেকজন পেল না। এক্ষেত্রে অনেক সময় দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে (আবার নাও হতে পারে)। বিচ্ছিন্ন দূরত্বের উদাহরণ। আবার কর্মরত বন্ধুটি নতুন কর্মজগতে নতুন বন্ধু হওয়া স্বাভাবিক। অন্যদিকে বেকার যুবকদের মধ্যেও নতুন নতুন বন্ধু তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
আরো পড়ুন- জল অপচয় একটি সামাজিক ব্যাধি, শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ব্যর্থতাকে সাফল্যের চাবিকাঠি বলা কি সঠিক?
শিশুশ্রম বিরোধী দিবসের আমাদের অঙ্গীকার।
Struggle With Life bonds a Unity-
আমার এক্ষনে বক্তব্য হল- দূরত্ব বিচ্ছিন্নতা, বিভেদ যেকোনো কারণে হতে পারে। তা অমূলক নয়। কিন্তু তার মধ্যে যে বৈচিত্র তার অনুসন্ধানে লিপ্ত থেকে ঐক্যের বন্ধন আমাদের প্রত্যেকের থাকা উচিৎ। যে সমস্ত কারণে ব্যক্তি মানুষের মধ্যে শৈলীর পার্থক্য এক না হলেও মানবিক সত্ত্বার মধ্যে অবস্থিত মনুষ্যত্ব সবার মধ্যে বিরাজমান। কারণ প্রত্যেকে আমরা পৃথিবীর জীব। জীব হিসেবে জীবন সংগ্রামের সাধারণ নিয়মাবলী তা সবার মধ্যে সমান। এই সমমানের বৈশিষ্ট্যগুলির মিলনেই গড়ে ওঠে একক এক সামাজিক বৃহত্তর সামাজিক সৌন্দর্য। যার প্রভাবে আমরা একে অপরের সমব্যথী। এই সত্যটি পরম হোক আমাদের জীবন যাপনের, জীবন-সংগ্রামের শৈলীর পরতে পরতে। ধন্যবাদ।
FAQs
What is struggle in life?
অসুবিধা বা বিরোধিতার বা প্রতিকুলতার সামনে কঠোর জীবন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টাই হল জীবনযুদ্ধ। সমস্যা সঙ্গে সংগ্রাম, কষ্ট করে বা মহান প্রচেষ্টার সাথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করার চেষ্টায় হল জীবনযুদ্ধ বা struggle in life.
What to do when struggling with life?
আপনি কি চান প্রথমে সেটা জানুন। আপনি কী চান এবং আপনি কী হতে চান সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। আপনাকে প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতে পারে- আপনার সংগ্রামকে স্বীকারের মাধ্যমে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আপনি কেমন অনুভব করছেন সেটা পরিবর্তন করুন। বিভিন্ন ধরনের সমাধানের পন্থাগুলিকে পছন্দ করুন। অন্যদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতাগুলি গ্রহণ করুন। তাত্ক্ষণিক পরিতৃপ্তির আশা করা বন্ধ করুন। দীর্ঘস্থায়ী ফললাভের চেষ্টা করুন। অন্যকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন।
Why do I have so much struggle in my life?
যখন আমরা জীবনের স্বাভাবিক ছন্দের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি, তখন আমরা প্রতিরোধ ও বিরোধিতা তৈরি করি এবং এটিই সংগ্রামের দিকে পরিচালিত করে। সংগ্রামের সাথে কোন আনন্দ নেই এবং কদাচিত কোন পুরস্কার পাওয়া যায়। আসলে, কিছু লোকের জন্য সংগ্রামই পুরস্কার। সংগ্রাম ছাড়া কিছু মানুষের অস্তিত্বই বিপন্ন।
Is life meant to be a struggle?
আমাদের কষ্ট নিয়ে পূর্ণ জীবনযাপন করার কথা নয়, জীবন আপনার ইচ্ছা মতো জীবনযাপন করার জন্য। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা আমাদের একেবারে জীবনের প্রান্তে ঠেলে দেয়। সংগ্রাম ও সংগ্রামহীন জীবন নিয়েই আমাদের সভ্যতা।
How do I live a life without struggle?
আশাবাদী মনোভাবের সাথে জীবনকে দেখুন। কম নেতিবাচক হতে চিন্তার অভ্যাস করুন। আপনার জীবনের নেতিবাচক অংশগুলিতে ইতিবাচক অংশে পরিবর্তন ও প্রয়োগ করুন। আপনি যখন কোনো সমস্যা দেখেন তখন চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিr পরিবর্তন করুন।বর্তমানের মধ্যে বসবাস করুন। বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা সেট করুন। আপনার স্ট্রেসের সাধারণ উত্সগুলির জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করুন৷ ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে চাপের পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন৷ প্রতিদিন কৃতজ্ঞতার অনুশীলন করুন৷ একজন বিশ্বস্ত বন্ধু বা প্রিয়জনের কাছে যান৷ প্রতিদিন 30 মিনিটের জন্য যোগ ব্যায়াম ও প্রাণায়াম করুন৷ প্রতিদিন 10-20 মিনিটের জন্য ধ্যান করুন৷ জীবন চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেলে একজন থেরাপিস্টের কাছে যান।