এই প্রতিবেদনে আপনি জানবেন অবাক করা ইসরোর ইতিহাস(Wonderful History of ISRO )। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO- Indian Space Research Organization) হল ভারত সরকারের মহাকাশ সংস্থা, যা দেশের মহাকাশ গবেষণা এবং মহাকাশ তথ্য অনুসন্ধান প্রচেষ্টার জন্য অগ্রণী ভূমিকা নেয়। ইসরোর ইতিহাস মহাকাশ প্রযুক্তি এবং অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য সাফলল্যকেই সূচিত করে না, সেই সঙ্গে সারা পৃথিবীর মহাকাশ গবেশনাকেও বিস্মিত করে। এখানে ISRO এর ইতিহাসের একটি যথাসম্ভব বিবরণ দেওয়া হল:
ইসরোর ইতিহাস প্রেক্ষাপট | Preface History of ISRO
১৯২০-এর দশক থেকেই ভারতে আধুনিক মহাকাশ গবেষণার প্রেক্ষাপট শুরু হয়। এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী শিশির কুমার মিত্রের নাম বিশেষভাবে জড়িত। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে বেতার যোগাযোগের এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও পথপ্রদর্শক হিসাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি কলকাতায় রেডিও পদ্ধতি প্রয়োগ করে আয়নমণ্ডলের প্রতিফলিত করর মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা পরিচালনা করতে থাকেন।
পরবর্তী সময়ে ড: মেঘনাদ সাহা ও সি.ভি. রমন সহ অন্যান্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও মহাকাশ বিজ্ঞানে প্রযোজ্য বৈজ্ঞানিক নীতিতে যথেষ্ট অবদান রেখে য়েছেন ১৯৪৫ সালের পরবর্তী সময়ে। এই সময়ে ভারতে সমন্বিত বা ইন্টিগ্রেডেড মহাকাশ গবেষণার দিকটি গুরুত্বপূর্ণভাবে উন্নতির দিকে ধাবিত হতে শুরু করে।
বিক্রম সারাভাই-
ভারতে সংগঠিত বা অর্গানইজড মহাকাশ গবেষণাযর দিকটি উন্মোচিত হয় আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইএর হাত ধরে। ১৯৪৫ সালে টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার অবদান ও নেতৃত্বকে অস্বীকার করা যায় না। মহাজাগতিক বিকিরণ বা কসমিক রেডিএসন অধ্যয়ন, উচ্চ উচ্চতা ও বায়ুবাহিত পরীক্ষা, পৃথিবীর অন্যতম গভীর খনি কোলারের খনিতে ভূগর্ভস্থ পরীক্ষা এবং উচ্চ বায়ুমণ্ডলের প্রকৃতি নির্ণয় ছিল মহাকাশ গবেষণার প্রথম ধাপ।
পারমাণবিক শক্তি বিভাগের প্রতিষ্ঠায় ইসরোর ইতিহাস-
১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় পারমাণবিক শক্তি বিভাগ। হোমি জাহাঙ্গীর ভাভাকে সচিব নিযুক্ত করা হয়। বিভাগটি মহাকাশ গবেষণার জন্য অর্থ সাহায্য্ করতে থাকে। এই উল্লেখযোগ্য সময়ে আবহাওয়া ও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষাও চলতে থাকে। আবহাওয়া ও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর পরীক্ষা ১৮২৩ কোলাবাতে সালে মানমন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গবেষণা হয়ে আসছিল।
উত্তরপ্রদেশে ১৯৫৪ সালে হিমালয়ের পাদদেশে মানমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৭ সালে হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রংপুর অবজারভেটরি স্থাপিত হয়। ভারত সরকার মহাকাশ গবেষণাকে এই সময় আরও উৎসাহিত করে। ঠিক এই সময়েই সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক ১ উৎক্ষেপণ করে এবং বাকি বিশ্বের জন্য মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে।
1962 সালে বিক্রম সারাভাইয়ের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ (ইনকোসপার) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাথমিকভাবে মহাকাশ কর্মসূচির জন্য কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ ছিল না এবং মহাকাশ প্রযুক্তি সম্পর্কিত ইনকোস্পারের সমস্ত কার্যক্রম dae(ডিপার্টমেন্ট অফ এটমিক এনার্জি)-এর মাধ্যমেই পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হত। প্রাথমিকভাবে আইওএফএস(ইন্ডিয়ান অরডন্যান্স ফ্যাক্টরী সার্ভিস) অফিসারদের রকেট তৈরিতে কাজে লাগানো হত। উন্নত আলোক সামগ্রী সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতকে কাজে লাগানো হত।
থুম্বা নিরক্ষীয় রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র-
এইচ.জি.এস. মূর্তিকে থুম্বা নিরক্ষীয় রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ভারতে বায়ুমণ্ডল গবেষণার সূচনা উপলক্ষে থুম্বা নিরক্ষীয় রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সাউন্ডিং রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। রোহিণী নামে দেশীয় সিরিজের সাউন্ডিং রকেট সমূহ পরবর্তীকালে নাম করে। ১৯৬৭ সাল থেকে তার উৎক্ষেপণ শুরু হয়।
60 ও 70 এর দশক
আমরা জানি 1962 মহাকাশ গবেষণার জন্য ভারতীয় জাতীয় কমিটি (INCOSPAR) ডক্টর বিক্রম সারাভাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত হয়,, যা ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির ভিত্তি বলে বিবেচিত।
1969: INCOSPAR পুনর্গঠন হয় ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এবং নতুন নামকরণ হয় ISRO। RH-75 নামে প্রথম সফল সাউন্ডিং রকেট উৎক্ষেপণ হয়েছিল।
পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে, ভারতে মহাকাশ প্রযুক্তি উন্নয়নের বিশেষভাবে পর্যালোচনা করার জন্য মহাকাশ কমিশন ও মহাকাশ বিভাগ (ডস- ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইসরোকে ডস-এর অধীনে আনা হয়। ভারতে মহাকাশ গবেষণা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় ও ইসরোর ইতিহাস(history of ISRO) আর একধাপ অগ্রসর হয়। ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচি তার বিদ্যমান রূপ পরিগ্রহ করে।
ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য জন্য সোভিয়েত ইন্টারকসমস এই কর্মযজ্ঞে যোগ দেয় এবং সোভিয়েত রকেটের মাধ্যমে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টকে কক্ষপথে স্থাপন করে পৃথিবীতে ইসরো ইতিহাস(history of ISRO) দৃঢ়ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হল।
অরবিটাল লঞ্চ ভেহিকল
সাউন্ডিং রকেট প্রযুক্তি আয়ত্ত করার পর একটি অরবিটাল লঞ্চ ভেহিকল তৈরির প্রচেষ্টা শুরু হয়। নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশের জন্য 35 কেজি (77 পাউন্ড) ভরের জন্য পর্যাপ্ত বেগ সরবরাহ করতে পারে এরকম সক্ষম একটি লঞ্চার তৈরি করা। 40 কেজি (88 পাউন্ড) 400-কিলোমিটার (250 মাইল) কক্ষপথে রাখতে সক্ষম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল তৈরি করতে ISRO-এর 7 বছর লেগেছিল।
উতক্ষেপন ও অবস্থান অভিযানের জন্য একটি SLV লঞ্চ প্যাড, গ্রাউন্ড স্টেশন, ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক, রাডার এবং অন্যান্য যোগাযোগ স্থাপন করা ছিল চেলেঞ্জিং কাজ। 1979 সালে SLV-এর প্রথম উৎক্ষেপণ একটি রোহিণী প্রযুক্তির পেলোড বহন করে কিন্তু এটি সফল হয়নি। স্যাটেলাইটটিকে তার কাঙ্খিত কক্ষপথে প্রবেশ করাতে পারেনি।
সফল উতক্ষেপন-
পরে 1980 সালে একটি রোহিণী সিরিজ-1 স্যাটেলাইট বহন করে একটি সফল উৎক্ষেপণের পরে, ইউএসএসআর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, চীন এবং জাপানের পরে ভারতকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছানোর সপ্তম দেশ হিসাবে মহাকাশ গবেষণায় সতহন করে নেয়। RS-1 হল কক্ষপথে পৌঁছানো তৃতীয় ভারতীয় উপগ্রহ। এর আগে ভাস্কর 1979 সালে ইউএসএসআর-এর সহাজ্য নিয়ে ইউ এস এস আর থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
600-কিলোগ্রাম (1,300 পাউন্ড) ওজনের মহাকাশযানকে 1,000-কিলোমিটার (620 মাইল) উচ্চ স্থানে স্থাপন করতে সক্ষম একটি মাঝারি-লিফট লঞ্চ ভেহিক্যাল তৈরি করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। সান-সিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপনের প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে 1978 সালে শুরু হয়। এই প্রচেষ্টা পরবর্তীতে পিএসএলভি-র উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করে।
সান-সিঙ্ক্রোনাস কি?
সান-সিঙ্ক্রোনাস হল এমন পদ্ধতি, য উত্ক্ষেপয়ত উপগ্রহ পৃথিবীর কোনো একটি স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে প্রদক্ষিণ করবে। ধরা যাক কলকাতায় সকল 9 টায় একটি উপগ্রহ অতিক্রম করলে, প্রতিদিনই তা সকাল 9টাতেই অতকর্ম করবে। এটি সারা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
লিকুইড প্রপালশন
1983 সালে slv-3 বন্ধ হয়। কিন্তু তার আগে আরও দুটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল। ISRO-এর লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টার (LPSC) 1985 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ফ্রেঞ্চ ভাইকিং-এর উপর ভিত্তি করে আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন উন্নয়েনের উপর জোর দেওয়া হয়। দুই বছর পর, তরল-জ্বালানিযুক্ত রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষা করার সুবিধা পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন রকেট ইঞ্জিন থ্রাস্টারের উন্নয়ন ও পরীক্ষা শুরু হয়।
একই সময়ে, SLV-3-এর উপর ভিত্তি করে আরেকটি কঠিন-জ্বালানিযুক্ত রকেট অগমেন্টেড স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল তৈরি করা হচ্ছে এবং উপগ্রহগুলিকে জিওস্টেশনারি কক্ষপথে (GTO) উৎক্ষেপণের প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে। ASLV-র সীমিত সাফল্য এবং একাধিক লঞ্চ ব্যর্থতা ভাবনার বিষয়। এটি শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যায়।
রাকেশ শর্মা(Rakesh Sharma)-
1984 সালের 3রা এপ্রিল রাকেশ শর্মা(Rakesh Sharma) সোভিয়েত ইউনিয়নের দু’জন মহাকাশচারী ইউরি মালিয়াশেভ এবং গেন্নাদি সাত্রেকালোভার সঙ্গে টি-১১ বিমানে করে মহাকাশে পাড়ি দেন। রাকেশ শর্মা’ই(Rakesh Sharma) হলেন ভারতীয় প্রথম মহাকাশচারী এবং পৃথিবীর ১২৮ তম মহাকাশচারী। বর্তমানে তিনি তামিলনাড়ুর একটি গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে অতি সরল সাধারণ জীবন যাপন করছেন।
জিওস্টেশনারি কক্ষপথ
এটি একটি নিরক্ষীয় কক্ষপথ। বৃত্তাকার জিওসিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথ 35,786 কিমি (22,236 মাইল) দীর্ঘ পৃথিবীর নিরক্ষরেখার উচ্চতায়। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে 42,164 কিমি (26,199 মাইল) ব্যাসার্ধে পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে উপগ্রহটিও ঘোরে। অর্থাৎ নিরক্ষরেখার সঙ্গে এটি লম্বভাবে সবসময় অবস্থান করে।
পাশাপাশি, ভারতীয় ন্যাশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম অফ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট(INSAT) এবং পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহের জন্য ভারতীয় রিমোট সেন্সিং প্রোগ্রাম(RS) এর প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে এবং বিদেশের সহযোগিতায় উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
1988 সালে ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং (আইআরএস) সিরিজের প্রথম উপগ্রহ IRS-1A উৎক্ষেপণ, রিমোট সেন্সিং এবং পৃথিবী পর্যবেক্ষণে দেশের ক্ষমতার সূচনা করে। ভারতের স্যাটেলাইটের সংখ্যা অবশেষে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সিস্টেমগুলি মাল্টি-ব্যান্ড কমিউনিকেশন, রাডার ইমেজিং, অপটিক্যাল ইমেজিং এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত উপগ্রহ সহ বিশ্বের বৃহত্তম উপগ্রহ নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।
1990 এ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি
1993: উন্নত উৎক্ষেপণ ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ভারত ASLV (অগমেন্টেড স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল) চালু করে।
1998: ভারত তার প্রথম সফল পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করে, যার ফলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, ISRO তার মহাকাশ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
একবিংশে মহাকাশ অনুসন্ধান
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল ইসরো 2002 সালে অফিসিয়াল লোগো পায়।
2008: ISRO চন্দ্রযান-1 উতক্ষেপন করে। ভারতের প্রথম চন্দ্র অনুসন্ধান, যা চাঁদের পৃষ্ঠে জলের অণু আবিষ্কার করে সারা বিশ্বকে চমকে দেয়।
2013: ভারত মার্স অরবিটার মিশন (মঙ্গলযান) চালু করেছে, মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য প্রথম এশিয়ান দেশ এবং বিশ্বব্যাপী চতুর্থ মহাকাশ সংস্থা হয়ে উঠেছে।
2014: ISRO PSLV-C37 রকেট ব্যবহার করে একটি একক মিশনে রেকর্ড 104টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে।
2019: চন্দ্রযান-2, ISRO-এর দ্বিতীয় চন্দ্র অনুসন্ধান মিশন, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল অধ্যয়নের লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এই উতক্ষেপন ব্যর্থ হয়।
চলমান মিশন এবং বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ-
2021: ভারত অ্যামাজোনিয়া-1 স্যাটেলাইট চালু করেছে, ISRO-এর প্রথম একক নিবেদিত বাণিজ্যিক মিশন, বিশ্ব মহাকাশ বাজারে তার ক্রমবর্ধমান ভূমিকা প্রদর্শন করে।
ISRO আসন্ন মিশনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যেমন গগনযান ক্রূড স্পেস মিশন, আদিত্য-এল 1 সোলার মিশন এবং আরও অনেক কিছু।
চন্দ্রযান 3
2023 সালের 23 শে আগস্ট। চাঁদে পদার্পণ করল বিক্রম। বিক্রমের ভিতর হেকে প্রজ্ঞান বেরিয়ে এসে তার কাজও শুরু করে দিয়েছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ ও চাঁদ থেকে পৃথিবীর ছবি পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে। ভারতের একক প্রচেষ্টায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ইতিহাস গরল ভারত। সারা বিশ্ব আয চমকে গেছে। সারা পৃথিবীর কাছে ভারতের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভারতের ইতিহাস জুড়ে, ISRO স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, উৎক্ষেপণ যান, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। সংস্থার অর্জনগুলি শুধুমাত্র ভারতের মহাকাশ প্রযুক্তিকে চালিত করেনি বরং মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে। স্বমহিমায় এগিয়ে চলুক ইসরোর ইতিহাস।
Read More- ভবিষত ইন্টারনেট প্রযুক্তি ওয়েব- 3.0