কুড়মী আন্দোলন(Kurmi Agitation) ও তাদের গত সেপ্টেম্বর’২০২২ খেমাশুলিতে পথ অবরোধ এবং রেল অবরোধের জেরে 40 কোটি টাকা এবং এ বছর আবার একই দাবিতে রেলের ১২ কোটি লোকসান হয়েছে। রেল অবরোধের অনেক ট্রেন বাতিল হয়েছিল। প্রতিদিন আপনারা সে খবর দেখেছেন, শুনেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। সেই দাবিগুলিকে হস্তক্ষেপ করে কখনো কখনো রাজনৈতিক দলগুলিও আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়ে, তাদের লাভ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাতে আন্দোলনকারীদের লাভ হোক বা না হোক তাতে কিছু যায় আসে না।
কুড়মী কারা?
প্রথমে জানি কুড়মী কারা, কোথায় এদের বসবাস এবং এরা আন্দোলন করছে কেন? কি কারন রয়েছে আন্দোলনের পেছনে? সত্যি কি সেই আন্দোলনের কোন নৈতিকতা রয়েছে? না’কি পুরোটাই অনৈতিক। আসুন জানা যাক এই নিবন্ধের মাধ্যমে।
কুড়মী মাহাতো বাংলাদেশ, নেপাল, মরিশাস এবং ভারত, মোটামুটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই সমস্ত দেশগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা মূলত ভারতের কুড়মীদের সম্পর্কে বলবো। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের। তবে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, জয়পুরহাট ইত্যাদি জেলাতে এদের বসবাস রয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে কোচবিহার, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া। বর্তমানে ঝাড়খন্ডে বিভিন্ন স্থানে এদের আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশে এরা আদিবাসী তালিকাভুক্ত। অর্থাৎ এসটি পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু ভারতে এরা ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এরা বিশেষ এক জনজাতি হিসেবে পরিচিত। পারস্পরিক সহযোগিতাকুড়মীর মধ্য দিয়ে এরা নিজেদের আত্মপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। এদের ভাষা হল কুরমালি। ঝাড়খন্ড বিহার উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গে যেমন এদের বসবাস রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের যেখানে এরা বসবাস করছে সেই জায়গাটির বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে কুড়মীটোলা।
চুয়াড় বিদ্রোহ থেকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কুড়মীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা রঘুনাথ মাহাতো। তার স্লোগান ছিল ‘আপনা রাজ দুর ভাগাও বিদেশী রাজ্। তবে এই রঘুনাথ মাহাতোকে নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলেন রঘুনাথ সিং, কেউ বললেন রঘুনাথ মাহাতো চুয়ার বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কোল বিদ্রোহের নেতা শহীদ বীর বুলি মাহাতো ঝগড়ু মাহাতো ইত্যাদিদের নামও বিশেষভাবে জড়িত।
কুড়মীদের ধর্ম
কুড়মী মাহাতোরা মূলত প্রকৃতি পূজারী। সূর্যের পূজা করে থাকেন। সূর্যাহি ধরম উৎসবে বাচ্চারা এক বছর বয়সে মাথা মুন্ডন করে পালন করে। তাছাড়াও করম জিতিয়া টুসু বাদনা সাঁকরাইত ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান কুড়মী মাহাতোরা পালন করে আসছেন।
কুড়মী আন্দোলন ও তার কারণ | Reason of Kurmi Agitation
১৮৭১ সাল থেকে তপশালী জাতিভুক্ত তালিকাতে এরা ছিলেন। রাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী ও আঞ্চলিক ভাষা বিভাগ কুরমালির প্রাক্তন গবেষক ডাক্তার এস এন সিংহ, তিনি বলেন সংবিধান সংশোধনের প্রথম দিকে কুড়মীদের তপশিলি সম্প্রদায় ভুক্ত করা হয়েছিল। কয়েক মাসের মধ্যেই এক অদ্ভুত কারণে সেই তালিকা থেকে কুড়মীদের বাদ দেওয়া হয়। আন্দোলনের সূচনা সেখান থেকে বলেই অনেকের ধারণা। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কুড়মী মাহাতোদের তপশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা হয়নি।।
অন্যান্য রাজ্যে কুড়মীরা থাকলেও বাংলার কুড়মীদের আন্দোলনের বেশি ভূমিকা গ্রহণ করে আসছে। বাংলার কুড়মীদের মূল খুঁটি, মূল মানতা ও দলনেতা অজিত মাহাতো, তিনি বলেন- মমতা ব্যানার্জির সমর্থন রয়েছে কুড়মীদের তপশিলি উপজাতিভুক্ত করার। কেন্দ্রকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন।
অন্যদিকে সরকার কুড়মী আন্দোলন(Kurmi Agitation) তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। রাজ্য সরকার সিআরআই (CRI- cultural research institute) রিপোর্ট পাঠায়নি কেন্দ্রের কাছে। এ সমস্ত বিভিন্ন কারণে রেলরোকো ও ডকুর ছ্যাঁকা আন্দোলন চলছে।
১৮৭১ থেকে ১৮৯১ সালে এবরজেনাস(আদিম ধার্মিক) সেন্সাসে আছে বলা হয় কুড়মীরা হলেন ট্রাইব, অধিবাসী। পরে ১৯৩১ সালের সেন্সাসে এদের প্রিমিটিভ ট্রাইব তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৪১ সাল পর্যন্ত সেই পরম্পরাও চলতে থাকে।
এরপর ১৯৫০ সাল মনোনীত সরকার। এস আর ও রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথমে 510 তপশিলি জাতি উপজাতির তালিকা প্রকাশ পায়। সে সময় বাংলার সাংসদ ছিলেন হৃদয় নারায়ণ। তিনি নেহেরুজির কাছে জানতে চান কোন কোন গোষ্ঠী এসটি তালিকায় রাখা হবে। নেহেরুজি উত্তর দেন 1931 সালের প্রিমিটিভ ট্রাইব তালিকায় যারা আছে তারাই থাকবে এই তালিকায়। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে কুড়মী সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েন। সেটা এখনো জানা যায়নি। সংযোজন নোটিফিকেশন থাকলেও তারপরের কারণ অজ্ঞাত।
পরবর্তী সময়ে মন্ডল কমিশনে কুড়মীরা ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত হন। এ ব্যাপারে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের দেউলী গ্রামের কুম্ভপ্রসাদ মহারাজের ব্যক্তিগত উদ্যোগের ভূমিকাকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রপোজাল সিআরআই রিপোর্ট পাঠান। কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পুনরায় সেই রিপোর্টটি জাস্টিফিকেশন ও কমেন্ট জানার জন্য রাজ্যের কাছে ২০১৭ সালে ফেরত পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার সে শিয়ারায়ে জাস্টিফিকেশন এবং কমেন্ট পাঠাননি বলে কুড়মীদের অভিযোগ। সরকার নাকি বলছেন যে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি পাঠাচ্ছি।
কুড়মী আন্দোলন ও রাজনীতি | Kurmi Agitation and Politics
কুড়মী মাহাতোরা নিজেদের জাতিগত সত্ত্বা আত্ম পরিচিতি অক্ষুন্ন রাখার জন্য শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী পক্ষের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের কাছে আবেদন নিবেদন করছেন। তাদের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেছে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা। সামাজিক স্তর থেকে রাজনৈতিক স্তর পর্যন্ত রাজনৈতিক স্তরে। শাসক দল এবং বিরোধী সকলেই কুড়মী মাহাতোদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতেছেন।
দিন কয়েক আগে বিজেপির দিলীপ ঘোষকে তারা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। ঘেরাও করেছিলেন। দিলীপ ঘোষ বলেন কুড়মী মাহাতোরা যখন বিভিন্ন জায়গায় ধরনায় বসে ছিলেন আন্দোলন করছিলেন, তাদের কাছে নাকি তিনি চাল ভাল সাহায্য পাঠিয়েছেন। কুড়মী মাহাতোরা জানতে চেয়েছিলেন কোন কোন ব্যক্তির কাছে এই দ্রব্য পাঠানো হয়। দিলীপবাবু বলেছিলেন নামধাম সবই দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই নাম পাঠানো হয়নি।
অন্যদিকে দুদিন পরেই দিলীপ ঘোষ কুড়মীদের নিয়ে হঠাৎ মন্তব্য করে বসেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে কাপড় খুলে নেবেন। এতেও কুড়মী মাহাতোরা যারপরনায় ছটে যান।
অন্যদিকে শাসক গোষ্ঠী নেতা অভিষেক ব্যানার্জি কাছেও তারা তাদের অভাব অভিযোগ জানান। অভিষেক ব্যানার্জি সরাসরি ক্যামেরার সামনেই বলেন কুড়মী মাহাতোরা তাদের কোনদিন ভোট দেয়নি। যদিও তিনি কর্মীদের আবেদন নিবেদন ও আন্দোলনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তথাপি কুড়মী মাহাতোরা অভিষেক ব্যানার্জির উপর সাংঘাতিকভাবে রেগে যান।
কুড়মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন
অন্যদিকে বর্তমানে স্বীকৃত আদিবাসী সম্প্রদায় কুড়মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেমে পড়েছেন। তাদের বক্তব্য কুড়মীরা আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। তাই তারা কুড়মীদের এ দাবীকে কোনমতে মেনে নিতে পারছেন না। তাদের বক্তব্য কর্মীরা বারে বারে তাদের নিজেদের জাতিগত সত্তা পরিবর্তন করেছে। সুযোগ-সুবিধা যখনই পায়নি তখনই সেখান থেকে অন্য জাতিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছে। তাদের আরো বক্তব্য কুড়মীরা নিজেদের ক্ষত্রিয় বলে পরিচয় দিতেন পৈতেও পড়তেন। এখন ক্ষত্রিয় থেকে তাদের কিছু লাভ হচ্ছে না বলেই আদিবাসীদের সামান্য সুযোগ-সুবিধাটুকুও চেটেপুটে খেতে চাইছে।
নিজেদের আত্মমর্যাদা জাতিগত সত্তা ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার দাবির পাশাপাশি সংরক্ষণের প্রশ্নটিকেও সরিয়ে দেওয়া যায় না। বর্তমানে এসটিদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে সিক্স পার্সেন্ট সংরক্ষণ রয়েছে। সেই সংরক্ষণের মধ্যে কুড়মীরা প্রবেশ করলে বর্তমানে স্বীকৃত আদিবাসীদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলে তাদের অভিযোগ। তাছাড়াও তাদের আরো বক্তব্য নৃ-বৈজ্ঞানিক বা এনথ্রোপলজি অনুযায়ী কুড়মী মাহাতোদের আদিবাসী বলা যায় না। যদিও কুড়মী মাহাতোরা বিভিন্ন রেফারেন্সের মাধ্যমে এবং অতীত ইতিহাস থেকে নিজেদের আদিবাসী বলেই স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
এখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন এই দুই জাতির আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের সামনে বিশাল সমস্যা। তেমনি সামাজিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব কোন অংশে কম নয়। এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় এই নিয়ে যেমন কুড়মী মাহাতোদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, তেমনি বর্তমানে আদিবাসী সম্প্রদায়কেউ গুরুত্ব না দেওয়ার উপায় নেই।
কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সরকার বা বিরোধী রাজনৈতিক দল এই সমস্যাকে সমাধানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, না এই সমস্যাকেই দিয়ে রেখে আগামী দিনে আরও সংকটময় মুহূর্তের সৃষ্টি হবে কি’না তা আমরা বলতে পারি না। কেননা বর্তমানে মনিপুরের ঠিক এই কারণেই উদ্ভূত যে সামাজিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে তা আমরা সকলেই অবগত। আমরা কখনোই চাইবো না পশ্চিমবঙ্গে ঠিক সেই রকমই এক সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক।
কুড়মী আন্দোলন নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় নিবন্ধ
এ প্রসঙ্গেই গত ২৬/৬/২০২৩ তারিখে আনন্দবাজার পত্রিকায় সম্পাদক পৃষ্ঠায় কুমার রানা একটি নিবন্ধ লিখেছেন- ‘সিঁদুরে মেঘ আবার।’ সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বলছেন কুড়মী মাহাতোরা আদিবাসী ছিল। বর্তমানে যে সাঁওতাল আদিবাসী রয়েছেন কুড়মী তাদেরই তুতো ভাই। সে নিবন্ধে তিনি পশুপতি মাহাতো এবং নৃতত্ত্ব বৈজ্ঞানিক জনবিন্যাসের অন্যতম পথিকৃৎ হারবার্ট রেজলীর পর্যবেক্ষণকে উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরেছেন এবং সাঁওতাল ও কুড়মীদের জীবনযাত্রার মিলনকেও ব্যক্ত করেছেন। সাঁওতাল এবং কুড়মী এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যে সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে সেই সংঘাত রাজনৈতিকভাবে লাগানো হচ্ছে বলে নিবন্ধে তিনি ব্যক্ত করেছেন। সে বিষয়ে সতর্ক থাকতেও বলেছেন।
সাঁওতালরা কুড়মীদের এই আন্দোলনকে কেন মেনে নিতে পারছেন না, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের এক সাঁওতাল মুখ্যমন্ত্রী কুড়মীদের তপশিলি উপজাতি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করেছিলেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সেই আবেদনকে মান্যতা দেয়নি। কেন মান্যতা দেয়নি তার কারণ হিসেবে বলেছেন- বিজেপি পরিচালিত বর্তমান কেন্দ্র সরকার যুক্তি দিয়েছে যে কুড়মী মাহাতোরা, নৃবৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে জনজাতীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নন।
কিন্তু কুমার রানার বক্তব্য হল- দেশের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি দলের উগ্র জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ। যেখানে আদিবাসী ধারণাটা তাদের কাছে বিপদজনক। অর্থাৎ তারা ভারতীয় ও অভারতীয় ভাগটাতে বেশি বিশ্বাসী। তাছাড়া তাদের কাছে আদিবাসীদের সমীকরনে জায়গা নেই হিন্দু পরিচিতি। তাহলে কুড়মী মাহাতোদের জনজাতি তালিকাভুক্তির দাবির মধ্যে নিহিত আদিবাসী পরিচিতির দাবিটাকে তারা অর্থাৎ বিজেপি সরকার ঠিকই পড়তে পেরেছে বলে কুমার রানা এই নিবন্ধে ব্যক্ত করেছেন।
কুমারডানার আরো বক্তব্য যে ঝাড়খণ্ডের এক সাঁওতাল মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় কুড়মী মাহাতোদের জনজাতিভুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে পারেন এবং সেখানে সাঁওতালরা তাতে আতঙ্কিত বোধ করেন না। এ রাজ্যেও কুড়মী মাহাতোদের আন্দোলন অর্ধ দশক ধরে চলতে থাকলেও, সাঁওতালরা তা নিয়ে খুব একটা বিরূপতা দেখাননি। অথচ মাত্র কিছুদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে এত অসন্তোষ সৃষ্টি হলো যে তারা কুড়মী মাহাতোদের দাবির বিরুদ্ধে নেমে পড়লেন।
এ বিষয়ে আমাদেরও প্রত্যেক জাতির প্রতি আবেদন সত্যিই সত্যটাকে জানার চেষ্টা করা প্রয়োজন এবং নিজেদের মধ্যে কলহ অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে কিনা সেটার অনুসন্ধানও অত্যন্ত দরকার।
Read More- সম্পদের আধিকারী কিভাবে হব।