চাঁদা তোলা যখন জুলুমবাজিতে(Oppression of Raising Money) পরিণত হয়, সংস্কৃতির কি বার্তা বহন করে? Raising Money অর্থাৎ চাঁদা তোলা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা ভারতের সংস্কৃতিি। এই সংস্কৃতি কি বার্তা(Message of Culture) বহন করে আধুনিক সভ্যতয়? আজ এ বিষয়ে সামান্য কিছু বলতে ইচ্ছা করছে। সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত এ প্রচলিত সংস্কৃতি, বিভিন্ন ভাবে রূপ পরিগ্রহ করে বর্তমানে কোন কোন স্তরে জুলুমবাজিতে পরিণত হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। তবে সবক্ষেত্রে নয়। তাও আজকের আলোচ্য বিষয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে চাঁদা তোলা হয়?- Organization of Raising Money-
কোন কোন ক্ষেত্রে বা কোন কোন সংস্থা জানাজায় অংশগ্রহণ করে- এ প্রশ্নে ব্লতে হয় রাজনৈতিক দল থেকে পুজো কমিটি, ক্লাব বা যেকোনো সাংস্কৃতিক সংস্থা চাঁদা তোলায় অংশগ্রহণ করে। From political parties to pujo committee, clubs or any cultural organization take part for raising money.
রাজনৈতিক দল-
রাজনৈতিক দল তার দল পরিচালনা, দলীয় নানারকম কার্যপ্রণালী সচল রাখতে চাঁদা তোলায়(Raising Money) অংশগ্রহণ করে। হয়তো সৎ এবং অসৎ উভয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা তোলা(Raising Money) অংশগ্রহণ দেখা যায়। অসৎ উদ্দেশ্য বলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি হয়তো আমাকে বিদ্ধ করবে। কিন্তু সকল কাজই সামাজিক উদ্দেশ্য কি সাধন করে? তাও তো নয়। স্ৎ উদ্দেশ্যের মধ্যে হয়তো পার্টির লোকদের বেতন বা সাম্মানিক। দলীয় কাজকর্ম পরিচালনার জন্য মিটিং-মিছিলের খরচা। ডেকোরেটার্স, চায়ের দোকানের বিল, ফেস্টুন, ভোটিং এর জন্য খরচ ইত্যাদি হতে পারে।
কিন্তু পাবলিকের কাছে চাঁদা তুলে মাছ-মাংস ভোজের সমারোহ কি উদ্দেশ্য সাধন করে? অথবা কোলাহল, বমা-বারুদ, রাজনৈতিক দাঙ্গা, হত্যা সৎ উদ্দেশ্য হয় কি করে?
পুজোয় চাঁদা–
বিভিন্ন পুজো কমিটি পূজোর কাজ পরিচালনার জন্য খরচ তোলার উদ্দেশ্যে পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুজোয় চাঁদা তোলার(Raising Money) রেওয়াজ আছে। এক্ষেত্রে সদস্যরা চাঁদা দেওয়ার কাজে সামিল হন। কোন সমস্যা নয়। একটি পুজো পরিচালনার জন্য যে খরচ বহন করা তা একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সার্বজনীন পূজা কর্মসূচিতে প্রথাগত সংস্কৃতির বার্তা(Message of Culture) বহন করার জন্য চাঁদা তুলতে(Raising Money) হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য-
নাটক সংগীত অনুষ্ঠান পরিবেশন করার জন্য বিভিন্ন ক্লাব বা সংখ্যাগুলি প্রথমে এগিয়ে আসে। কোন নাট্যগোষ্ঠীঅ এ ব্যাপারে অংশগ্রহণ করে। সংস্কৃতি ধারা বহন(Message of Culture)এবং আনন্দ ও শিক্ষামূলক কর্মসূচিকে সমাজ জীবনে প্রয়োজনের তাগিদেই এই সকল অনুষ্ঠানের প্রয়োজন। তাছাড়া বিনোদন আমাদের জীবনের অঙ্গ। অতএব অনুষ্ঠান। তাই চাঁদার প্রয়োজনীয়তা
আমাদের ক্লাব বা গোষ্ঠী গুলি বা নাট্যদল গুলি এমন কিছু রোজগার নেই যা দিয়ে অনুষ্ঠানের খরচ বহন করা সম্ভব হয়। এখন অবশ্য সরকারিভাবে ক্লাবগুলোকে চাঁদা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, সেই টাকার সদ্ব্যবহার কতটা হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
দুঃস্থ রোগীকে ভর্তি করানোর জন্য-
দুঃস্থ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যাপারে কখনো কখনো পাড়ায় ছেলেমেয়েরা চাঁদা তোলার কাজে অংশগ্রহণ করে। সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই একাজে যুবক যুবতীরা আগে এগিয়ে আসে।
যে দুঃস্থ রোগী পরিবারের কাছ থেকে অবহেলিত বা এমন পরিবার যাদের রোজগার সেরকম নেই যা দিয়ে রোগীকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারে। অথবা রোগ এমনই যে যার দায়ভার বহন করা কারো পক্ষেই সম্ভব হয় না। অগত্যা যেটুকু অর্থ সংগ্রহ তা পাড়ার তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী বা ক্লাব সংস্থা গুলির দ্বারাই সম্ভব।
সৎকারের জন্য-
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বিশেষ বিশেষ শব সৎকার সমাপনে চাঁদা তোলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মানুষটির কেউ নেই। একা থাকতে হতো। কিংবা থাকলেও সৎকার করা সমাপনীর জন্য কিছু অবশিষ্ট নেই। সমাধিস্থল, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার শেষ কাজটুকু করার জন্য লোকজনের প্রয়োজন। আর সেখানে কিছু খরচ হয়। লোকজন সমাবেশ মৃত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কার্য সম্পন্ন করা সারা পৃথিবীর প্রথা। এক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন। সে অনুষ্ঠান টি পরিচালনার জন্য জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ প্রদান ও অন্য কাজগুলো পুণ্য কাজ বলে স্বীকার্য। চাঁদা তোলা ও দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভাবে অসততার পরিচায়ক হয় বলে আমার মনে হয় না।
অন্যান্য-
অনেক সময় দেখা যায় হনুমান জাতীয় প্রাণী বড় রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টে মারা পড়লে স্থানীয় লোকজন হনুমানটিকে লাল সালুতে ঢাকা দিয়ে রোডের পাশে রেখে লরি বাস বা যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করে। উদ্দেশ্য হনুমানের শেষকৃত্য সমাপন এবং রাস্তার ধারে একটি সমাধি স্থল তৈরি করা। দিন দিন কত হনুমান মারা যাচ্ছে। কতই বা হনুমান সমাধিস্থল তৈরি হচ্ছে কে জানে।
চাঁদা তোলার আচরণ(Attitude of Raising Money)-
চাঁদা তোলার তার কার্যকারিতা অনুযায়ী অনেক প্রকার হয়ে থাকতে পারে। যেমন লাইব্রেরীর চাঁদা- কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে সদস্যদের মাসিক চাঁদা দেবার। বই পড়বে বিনিময়ে সংস্থার আনুষঙ্গিক কার্য পরিচালনার জন্য পাঠকরা চাঁদা দিতে বাধ্য থাকবে। এখানে এমনভাবে চাঁদা নির্দিষ্ট করা হয় যাতে পাঠকদের ভারী বোঝা না চেপে যায়।
আবার ক্লাব বা সংঘেরও নির্দিষ্ট চাঁদা ধার্য করা থাকে তার সদস্যরা কত চাঁদা দেবে।
অন্যদিকে ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহের নিমিত্ত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলা দাতাদের ইচ্ছাধীন। এখানে এক সহানুভূতি কাজ করে। তাই স্বেচ্ছায় সাধারণ মানুষ চাঁদা দেয়। তাছাড়া অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী যেমন জামাকাপড় বা শুকনো খাবার ও দান করে। এ কার্য গ্রাহক সংস্থা এবং তারা উভয়েই প্রশংসার যোগ্য।
ঠিক সেই রকমই কিছু সংস্থা আছে (সরকারি-বেসরকারি) অনুদান চেয়ে তাদের সাইটে লিংক দেয়। ডোনেট করলে ইনকাম ট্যাক্স আন্ডার সেকশন 80G তে ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় পায়। এই ডোনাশনও সামাজিক কল্যাণের কাজে লাগানো হয়। যেমন চিপ মিনিস্টার ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড বা কোন এনজিও এর ডোনেশন স্কিম। এনজিওরা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুদান সংগ্রহ করে।
উপরের সমস্ত ক্ষেত্রে দাতার ইচ্ছার উপর চাঁদার পরিমাণ নির্ভর করে। তবে পরিসেবার ক্ষেত্রে সংস্থা দ্বারা নির্দিষ্ট সেবা গ্রহণকারী সদস্যদের খুব একটা চাপ হবে বলে মনে হয় না। তবে পরিষেবা পেতে চাইলে টাকাতো দিতেই হবে।
চাঁদা যখন জুলুম(When Raising Money is Oppression)-
কিছু কিছু পূজা-পার্বণে দেখা যায় স্থানীয় লোকদের কাছে চাঁদা আদায় জুলুমে পরিণত হয়। দাতাঁর সামর্থ্য না থাকলেও জোর করে চাঁদার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। না দিলে নানান রকম অত্যাচার। আর্থিক সামর্থ্য না থাকার জন্য লোকবলও তেমন থাকে না। সহজে পেরে ওঠে না গ্রহীতা সংস্থার সঙ্গে।
যেহেতু আর্থিক ক্ষমতা নেই তাই মনোবল নেই লোকবল নেই। আদায়কারি সংস্থার প্রতিনিধিদের আচরন দেখলে অবাক হতে হয়।সিনেমায় যে আচরণ দেখা যায় তার থেকে কয়েকজন এগিয়ে হিরোইজম দেখানোর ছলে দুর্বল মানুষদের প্রতি অত্যাচার চালায়। জোর করে চাঁদা আদায় করা যেন জন্মগত অধিকার।
এই ঘটনা পূজো পার্বণ বলুন আর ক্লাব বা পার্টির কোন অনুষ্ঠান উদযাপন এর জন্যই বলুন সব ক্ষেত্রেই প্রায় হিরোইজম আচরণ দেখা অমূলক কিছু নয়। যেখানে কোন সৎ কর্মের জন্য বা দুঃস্থদের, দুঃস্থ রোগীদের সেবা কার্যক্রমে বা বিয়ের মতো সামাজিক কাজ পরিচালনা বিষয় হোক তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সেটা জুলুমবাজ ও অত্যাচারে পরিণত হলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অসামাজিক বাতাবরণের সৃষ্টি করে অন্য জনসমাজকে এক নিতীনষ্ট বার্তা বহন করে(Demoralization Message of Culture) যা ভবিষ্যৎ সমাজব্যবস্থাকে কঙ্কাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
কোন স্থানে নতুন বাড়ি বানালে স্থানীয় ক্লাবের চাঁদার জুলুম-
নতুন বাড়ি তৈরি করা অর্থে চাঁদা দিতে হবে। এটা যেন একটি ট্র্যাডিশন এ পরিণত হয়েছে। মফস্বল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে মূলত গ্রাম থেকে বা আধা শহর থেকে বাসিন্দারা নতুন স্থানে নতুন বাড়ি তৈরীর পর গৃহপ্রবেশ অর্থে স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা চাঁদা আদায়ের চলে আসে। এটা যেন জন্মগত অধিকার। কোথাও বলে আবদার। আবার কোথায় বলে তাদের সেখানে বসবাস করতে এসেছে অতএব ভালো থাকতে হলে চাঁদা দিতে হবে। সম্পর্ক ভালো থাকবে। ছেলেদের সাথে টাকা দিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে যদি সম্পর্ক ঠিক রাখতে হয় তাহলে সেই বাণিজ্যিক সম্পর্ক যে কোন মানুষের সাথেই করা যায়। প্রতিবেশী অর্থে স্থানীয় আত্মীয়। সুখ-দুঃখ-বিপদে তারাই তো আসবে। তা চাঁদার জুলুম কেন বাবা?
আপনি বলবেন আবদার। ভালো কথা। কিন্তু দেখেছি আবদার ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ঢিল ছোড়া, গালিগালাজ, পায়খানা করার পর্যায়ে চলে যায় কখনো কখনো।
এ ব্যাপারে কেউ কেউ প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তাদের সেখানে জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে আবার কম্প্রোমাইজ করতে হয়। আর বেশিরভাগ মানুষ ঝামেলা এড়ানোর জন্য চাঁদা দিতে বাধ্য হন। কম্প্রোমাইজ করেন। পেরে ওঠেন না। অবশ্য সব ক্ষেত্রে বিপদে-আপদে সেই পাড়ার ছেলেদের দেখাও যায় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমি ঘটনা ঘটে।
হপ্তা বা তোলা আদায়-
হপ্তা বা তোলা আদায়ও সামাজিক কুপ্রথারই এক বিশেষ অঙ্গ। হপ্তা বা তোলা আদায় কোন দাদার আদেশে পালিত হয় জানা নেই। ছোট থেকে মাঝারি বা বড়ো ব্যবসাদার কখনো কখনো এর আওতায় পড়ে। হপ্তা বা তোলা আদায় না দিলে তুমি দূর হটো সেখান থেকে। তোমার ব্যবসা করার অধিকার সেখানে নেই। বউ বাচ্চা পরিবারের কথা ভেবে জুলুম সহ্য করা ব্যবসায়ীদের বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। কি করা যাবে? সিনেমা থেকে এগুলো এসেছে, না এগুলো থেকে সিনেমা তৈরি হয় জানিনা। তবে সিনেমার একজন নায়ক এসে এসমস্ত জুলুমবাজি বন্ধ করে। কিন্তু এখানে সে নায়ক কোথায়? যে এক ঝটকায় এসমস্ত প্রথা বন্ধ করবে। জানিনা এ অসামাজিক দিকগুলো কতদিন সমাজে থাকবে। কতদিন আগামীর পথে সামাজিক উত্তরণের পথকে সুশৃংখল করবে সামাজিক সুবার্তার(Good Message of Culture) মাধ্যমে।
চাঁদা তোলার লোকজন-
সবার পক্ষে কিন্তু সব কাজ সম্ভব হয়না। সব কাজ পরিণতিতে নিয়ে যাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি দেখেছি যেখানে জুলুমবাজি সেখানে লোকজন কেমন যেন। সমাজ থেকে বিচ্যুত। মনে হয় না তারা সেই সমাজে বসবাস করে। মনে হয় কোন সুদূর থেকে তাদের আনা হয়েছে। কেমন সব অপরিচিত মুখ। তাদের ভাষা, তাদের ভাষা প্রক্ষেপণ, প্রয়োগ সে সমাজে বসবাসকারী কোন মানুষ জন প্রয়োগ করে কি’না বোঝা যায় না।
তাই হয়তো কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করে তাকে,কাকে কোন কাজ দিলে চূড়ান্ত পরিণতি পাওয়া যাবে। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আদায় হবে। যাদের লাজ-লজ্জা ঘৃণা এবং সর্বোপরি মায়া কাকে বলে জানে না সেই সব মেম্বারদের নির্বাচিত করা হয় চাঁদা তোলা বিশেষ করে জুলুম করার ব্যাপারে।
চোখ লাল, মুখে গুটখার পিণ্ড, মাথায় ফেটি কেমন যেন অচেনা জগতের অচেনা মানুষ।
আপনারা হয়তো আমার লেখায় রাগ করবেন। করুন, আমার অভিজ্ঞতা অনুভূতি মতান্তরে কমেন্ট করুন। আলোচনায় আসা যাবে, তর্কে আসা যাবে।
ভদ্র, বিনয়ী মানুষ-
আবার বিপরীত মানুষজনকেও দেখা যায়। কেমন যেন ম্রিয়মান, ভঙ্গুর হৃদ্য, পর্যাপ্ত বিনয়ী সুশীল। কথাবার্তায় আপনি ওদের বলার আগেই হয়তো তাদের চাঁদা প্রদান করলেন। এ চিত্রও দেখা যায়। তবে খুবই নগণ্য উদাহরণ। এইতো সেদিন বাজার করতে গেছি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জুলুম করে মা কালী পুজোর জন্য চাঁদা আদায়। বলছে 200 টাকা না দিলে তোমাকে কাল থেকে এখানে বসতে দেব না। বেচারা ব্যবসায়ীরা কি করে?
কিভাবে অসামাজিক আচরণকে পরিবর্তন করবো?
উপসংহার-
প্রেম-ভালোবাসা প্রীতি সহানুভূতি যেখানে বিরাজ করে সেখানে জুলুমের প্রয়োজন পড়ে না। আর জুলুম যেখানে নেই সেখানে ভালবাসা আন্তরিকতা সামাজিকতার বার্তা(Message of Culture) নিয়মেই বর্ষিত হয়। সামাজিক সম্পর্ক সেখানে এক নিবিড় বন্ধন তৈরি করে। সেখানে মূল্যবোধ একনিষ্ঠভাবে আদান-প্রদান হয়। যেখানে চাঁদা নয় চাঁদার জুলুম নয় স্বয়ংক্রিয় এক আদান-প্রদান রীতি তৈরি হয়ে মজবুত তহবিল গড়ে উঠে। সেটার অভাবই সমাজকে ক্ষয়িষ্ণু করছে। সাবলম্বী শতশত তহবিল গঠনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ধন্যবাদ।