জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সুবিধা অসুবিধা | NPE 2020 Highlights in Bengali

NPE 2020 Highlights in Bengali: জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সুবিধা অসুবিধা সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই যেটা জানা দরকার সেটা হলো স্বাধীনতার পর ভারতের কিভাবে শিক্ষানীতি রদবদল হয়েছে। কতগুলি কমিশন স্বাধীন ভারতের এসেছে, যারা বিভিন্নভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি রদবদল ঘটানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই ব্রিটিশ আমলের নীতিগুলির সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে পুরনো ভাবেই এখনো পর্যন্ত এগিয়ে চলেছে।

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020

দেখা যাক স্বাধীনতার পর জাতীয় শিক্ষানীতি কী ছিল এবং কোন কোন কমিশন তৈরি হয়েছিল।

স্বাধীনতার পর ভারতের শিক্ষানীতি ও কমিশন গুলি-

  • University Education Commission(1948-49),
  • Secondary Education Commission(1952-53),
  • The Education Commission(1964-66),
  • National Policy of Education(1968),
  • National Policy on Education(1986),
  • Revised Program of Action(1992),
  • SSA- Sarba Siksha Abhijan(2001- 2002),
  • NCF(National Curriculum Framework-2005),
  • National Knowledge Commission(2009),
  • RTE(Right to Education- 2009),
  • National Policy on Education(2020) | জাতীয় শিক্ষানীতি 2020

উপরের শিক্ষানীতি ও কমিশন গুলো নিয়ে আজকের আলোচ্য বিষয় নয়। আজকের বিষয় জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সুবিধা অসুবিধা(এবং New NPE 2020 Highlights in Bengali)। আপনারা হয়তো অনেকেই এর পূর্বে অনেক সাইট অথবা ইউটিউব থেকে এই বিষয়ে পড়েছেন বা দেখেছেন। এই মুহূর্তে তারই এক অতি সহজ সরল পুনরালোচনা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি।

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 জানার পূর্বে

এখনো পর্যন্ত এই পলিসি কাগজে-কলমে হয়ে রয়েছে। এখনো এর ইমপ্লিমেন্টেশন হয়নি। আমরা এখন অপেক্ষা করবো কবে এর প্রয়োগ বাস্তবে ঘটবে।

এর ঠিক পূর্বের ভারতের শিক্ষানীতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং আলোচিত বিষয় ছিল RTE- 2009। এটি সবশেষ গ্রান্টেড ব্রেকিং এডুকেশন পলিসি ছিল, যেটি আর্টিকেল 21A উল্লেখিত হয়েছে। 

আরো পড়ুন- বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা ও ধারাবাহিকতা

  • RTE- 2009-

এই এই নীতিতে বলা হয়েছে 6 থেকে 14 বছরের ছেলেমেয়েরা ফ্রিতে শিক্ষা পাবে এবং এই শিক্ষা হবে কম্পালসারি বা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ প্রত্যেকেই শিক্ষার আওতায় আসবে। এই শিক্ষা থেকে কেউ বঞ্চিত থাকবে না। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে অন্যান্য সমস্ত বিষয়গুলির প্রত্যেকটি পলিটিক্যাল পার্টির ইশতেহারে উল্লেখিত থাকে, যেমন- রিজার্ভেশন, কোটা, বেকার ভাতা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এডুকেশনের মত নীতিগুলোর উল্লেখ করার কথা কোন পার্টির মেনুতে থাকে না। কেননা শিক্ষা বেশ ভারী বিষয়। এই বিষয় নিয়ে ভোট প্রচার করতে বয়ে গেছে। 

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সুবিধা | NPE 2020 Highlights in Bengali

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020

2014 সালে বিজেপি সরকারের ম্যানিফেস্টোতে ছিল নিউ এডুকেশন পলিসি। 2015 তে স্মৃতি ইরানি যখন HRD মিনিস্টার ছিলেন, তখন একটি কমিটি তৈরি হয়েছিল, যার চেয়ারম্যান ছিলেন TSR Subramanyam। 2016 সালের 7 মে কমিটি একটি রিপোর্ট জমা দেয়। রিপোর্টের মূল বিষয় ছিল-

  • 1 Improve Quality Education ,
  • 2 Creditability of Education,
  • 3 Implementation the Gaps

2016 সালের October মাসে এটি HRD Ministry রিলিজ করে এবং সাজেশন চায়। কিন্তু রেকমেন্ডেশন এর কিছু কার্যকরীতা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি।

এরপর Dr.K. Kasturirangan এর সভাপতিত্বে 9 জন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি হয়। 2009 সালে NOE একটি Draft তৈরি করে। এটাই 2020তে New Education Policy হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020
  • 1 এইচ.আর.ডি মিনিস্ট্রি নাম পরিবর্তন করে হয় মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন,
  • 2 GDP 1.6% থেকে বৃদ্ধি করে 6% পর্যন্ত আনা হয়,
  • 3 সার্বিক এন্ডোর্সমেন্ট অনুপাতের ওপর জোর দেওয়া হয়। 2035 সাল পর্যন্ত একে 50% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।

এগুলি সম্ভব তখনই হবে যখন একদিন হঠাৎ বর্তমানে যে এডুকেশন পলিসি চলছে সেই সিস্টেমের ওপর একটি সাংঘাতিক রকমের আবর্তনশীল পরিবর্তন ঘটবে।

বিশ্ব শিক্ষানীতির প্রতি দৃষ্টি রেখে তৈরি এই শিক্ষানীতি একাডেমিক, ভোকেশনাল, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির উপর নজর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যার যেদিকে দক্ষতা তারা সেটাই বেছে নিয়ে আগামীর পথ চলতে পারবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব প্রদান করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা যে যেদিকে দক্ষ বা পারদর্শিতা রয়েছ, পছন্দ রয়েছে সেদিকেই তার পড়াশোনার প্রতি নজর দিতে পারবে। সেই কোর্সে অংশগ্রহণ করে জীবনে সফলতার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। স্কুল কলেজ থেকে বেরিয়ে যাতে তারা বাস্তব পৃথিবীর সামনে প্রকৃত মানুষ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আগামী দিনে ব্যক্তিগত জীবনের সাথে দেশের সার্বিক উন্নয়নের হাল ধরতে পারবে সেই দিকের প্রতি বিশেষ করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বিশ্লেষণ-

আমরা এবার দেখি স্কুলের বয়স অনুপাতে শ্রেণীবিভাজন। অর্থাৎ শ্রেণী গঠন।

স্কুল শিক্ষা 10 থেকে 16 বছর পর্যন্ত। 10+2 গঠন পরিবর্তন হযে 5+3++3+4 হয়েছে।

  • প্রথম 5 বছর- ক)অঙ্গনওয়াড়ি/pre-primary/ বালভাটিকা। এই গ্রুপে তিন বছর বয়স থেকে ছয় বছর বয়সে ছাত্রছাত্রীরা আওতায় আসবে। খ)এরপর রয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি। 6 বছর থেকে 8 বছর পর্যন্ত বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। অর্থাৎ মোট পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত হবে pre-primary থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত।
  • পরের 3 বছর- এর মধ্যে রয়েছে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণী। অর্থাৎ 8 বছর বয়সের ছাত্রছাত্রীরা 11 বছর বয়স তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীতে পড়বে।
  • পরের 3 বছর– উচ্চ প্রাথমিক-এই গ্রুপে রয়েছে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণী। অর্থাৎ 11 থেকে 14 বছর বয়সের ছাত্র ছাত্রীরা এই শ্রেণীর মধ্যে আসছে।
  • পরের 4 বছর– মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক- নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী। 14 বছর বয়স থেকে 18 বছর বয়সের ছাত্র ছাত্রীরা এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ছে।

প্রি স্কুল 3 থেকে 8 বছর বয়সের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনাকে ফরমাল এডুকেশন এর মধ্যে ধরতে হবে। তারাও স্কুল শিক্ষার সঙ্গে ফর্মাল কারিকুলাম মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটা হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি স্ট্যান্ডার্ড। এখানে ছাত্রছাত্রীরা ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণভাবে ওই বয়সের জন্য যা প্রয়োজন সেগুলো শিখতে পারবে।

6th স্ট্যান্ডার্ড-এ ছাত্র-ছাত্রীরা কোডিং শিখতে পারবে। চীষ সহ, পাশ্চাত্য দেশে এই বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের কোডিং শেখানো হয়। তাদের মতো ডেভলপমেন্ট আমাদের ভারতবর্ষে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেই। অন্যান্য দেশের ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি স্ট্যান্ডার্ড। তবে প্রাইমারিতে মাতৃভাষা শিক্ষার সুযোগ থাকবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মাতৃভাষা প্রতি জোর দেওয়া হয়। মাতৃভাষায় শিখলে সব কিছু সহজে বুঝতে পারবে। 

এরপর রয়েছে 360 ডিগ্রী হলিস্টিক কার্ড তৈরি। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা একাডেমিক, প্র্যাকটিক্যাল, কারিকুলাম কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি এসবগুলোর মধ্যে নিজেদেরকে নিযুক্ত করতে পারবে।

বোর্ড পরীক্ষায়(Secondary) পরিবর্তন-

মূল বিষয় বিষয়গত পারদর্শিতার সঙ্গে তার প্রয়োগ কতটা উন্নতি হয়েছে সেটা দেখা হবে। প্রাইভেট এবং গভমেন্ট এডুকেশন এর মধ্যে যে শূন্যস্থান বা সামঞ্জস্য নেই, সেগুলো কিভাবে পূরণ করা যায় তার প্রতি বিশেষ নজরদারি জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সুবিধার মধ্যে রয়েছে।

হাইয়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বিভিন্ন বিষয়ের সংমিশ্রণে তৈরি হবে। অর্থাৎ মাল্টিডিসিপ্লিনারি হলিস্টিক আন্ডার গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম। যার মধ্যে যুক্ত রয়েছে-

  • 1- ফ্লেক্সিবেল কারিকুলাম
  • 2-ভোকেশনাল সাবজেক্ট,
  • 3- ইনটার ডিসিপ্লিন কম্বিনেশন অফ সাবজেক্ট।

অর্থাৎ আর্টস, সাইন্স, কমার্স এর কোন ভেদাভেদ নেই। সমস্ত বিভাজন ভুলে প্রত্যেক বিভাগকে সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। হায়ার এডুকেশন ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। অর্থাৎ কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্যের মধ্যে যে কেউ যে কোন সাবজেক্ট নিতে পারবে। একজন আর্টসের ছেলে সাইন্সের অথবা কমার্স এর যেকোন সাবজেক্ট রাখতে পারবে।

  • ভাষা বিষয় পরিবর্তন-

সংস্কৃতকে সমস্ত উচ্চ শিক্ষার জন্য অফার করা হবে। অন্যান্য ক্লাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ সাবজেক্টকে লিটারেচার হিসেবে পড়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে।

  • ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য-

যারা ক্রিয়েটিভ অর্থাৎ যারা out-of-the-box, তাদের জন্য একাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট এক বছরের জন্য তাদের সেই সাবজেক্ট পড়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। তারপর সে ফিরে এসে যেখানে সে ফর্মাল শিক্ষা ছেড়ে গিয়েছিল সেখানে পুনরায় যোগদান করতে পারবে।

  • মাল্টিপল এক্সিট এবং এন্ট্রি

আন্ডারগ্রাজুয়েট পোস্ট গ্রাজুয়েটকে ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে মাল্টিপল এক্সিট এবং এন্ট্রির সাথে। অর্থাৎ যেকোনো সময় যে কেউ যেকোনো বিভাগ ছেড়ে অন্য কোন বিভাগে যোগদান করার পর, পুনরায় পুরনো বিভাগে যোগদান করতে পারবে।

  • MERU। এবং NRFএর উপর গুরুত্ব

মাল্টিডিসিপ্লিনারি এডুকেশনকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আই আই টি, আই আই এম এসের লেভেলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হবে। সংক্ষিপ্ত নাম MERU। এবং এডুকেশন রিসার্চ সেন্টারকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে(NRF) এর স্ট্রাকচার অফ বডি গঠন করতে হবে।

  • HECI

হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া(HECI)-কে ডেডিকেটেড এবং ,হোল বডি হিসেবে সেটাপ করা হবে। কিন্তু এর থেকে মেডিকেল এডুকেশনকে বাইরে রাখা হয়েছে

  • টিচার্স ট্রেনিং বা শিক্ষক প্রশিক্ষণ-

এনসিইআরটি এর সাথে পরামর্শ করে ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর এডুকেশন(NCFTE-2021) তৈরি করা হবে। 2030 সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের জন্য মিনিমাম চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড ডিগ্রী দেওয়া হবে।

জাতীয় শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার চাহিদা অনুযায়ী বিশ্বমানের শিক্ষা নীতিকে অনুসরণ করা হয়েছে। যাতে ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয় থেকে বেরিয়েই ব্যবহারিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অন্যান্য দেশের ছাত্রছাত্রীরা যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছে, ভারতবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীরাও যেন pre-primary থেকে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে কোনরকম বাধার সম্মুখীন না হয়। দেশের অভ্যন্তরেই সেই ধরনের শিক্ষা নীতি চালু করাই হলো এর উদ্দেশ্য।

জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 অসুবিধা-

  • এখনো পর্যন্ত এই শিক্ষানীতির ভালো-মন্দ নিয়ে সমালোচনা করা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। তবে এরই মধ্যে রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছে। আঞ্চলিক ভাষার উপর হিন্দি বা ইংরাজিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দিকে কেন্দ্রীয় সরকার জোর দিচ্ছে বলে আন্দোলন উঠছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
  • উচ্চশিক্ষায় একটা কোর্স থেকে অন্য কোর্সে যাওয়ার সহজ সরল নিয়ম শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থেকে বিচয়টি ঘটাতে পারে।
  • প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ বা বর্তমান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমসাময়িক চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ না করলে জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 অসুবিধায় পড়তে পারে.
  • সরকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আকর্ষিত করতে পারে।

উপসংহার

সার্বিকভাবে যদি বিশ্বমানের শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর প্রয়োগ হয় আশা করা যায় আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই ভাবে প্রতিযোগীদের সমকক্ষ হতে পারবে। যদিও ভারতবর্ষের সমস্ত জায়গার পরিকাঠামো, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা একই নয়, তথাপি শিক্ষানীতির ভালোর দিকগুলো বিশেষভাবে নজর রেখে সকলকেই এগিয়ে এসে প্রয়োগের সার্থকতা উপর জোর দেওয়া দরকার।

Help Your Family and Friends:

Leave a Comment