Online classes during lockdown(লকডাউন এর মধ্যে অনলাইন ক্লাস) বর্তমানে বদলে দিচ্ছে আমাদের পড়াশোনার পদ্ধতিগত পরিবেশকে। তবে এরই মধ্যে একটি আশার আলো স্কুল কবে খুলবে তার উত্তর মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রণালী পদ্ধতি বর্তমানে কোভিডের জন্য লকডাউন এবং Online classes during lockdown period ছাড়াও আমাদের আর অন্য কোন উপায় নেই। সত্যি কোন উপায় আছে কি নেই এখনো অজানা।
আপনাদের কাছে যদি কোন উপায় বা বিকল্প কোন পদ্ধতি জানা থাকে অবশ্যই জানান।
2019 সাল পর্যন্ত যেখানে কেবলমাত্র বয়স্করা Social Media ব্যবহার করত সেখানে 2020-21 এ শিক্ষা ব্যবস্থায় সামাজিক মাধ্যম(Social media in Education) বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হোয়াট্সঅ্যাপ বর্তমান স্কুলশিক্ষা প্রণালীর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। তাছাড়া টেলিগ্রাম, গুগুলে মিট এ সমস্ত Social Media অ্যাপগুলো Online Class-এর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সামাজিক মাধ্যম (Social Media in Education) প্রভাবিত হচ্ছে।
Why our home turned into online classes during lockdown?
এ বিষয়ে সকলেই একমত, কোভিড পরিস্থিতি সারা পৃথিবীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পদ্ধতি আদান-প্রদান ও সম্পর্কগুলোকে পাল্টে দিয়েছে। বন্ধ হয়েছে জনসমাগম, যাতায়াত ব্যবস্থা পরিবর্তন পদ্ধতি এবং জীবনযাপন প্রণালীও পাল্টে গেছে। সেইরূপ বন্ধ হয়েছে বিদ্যালয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। করোনা অতিমারি যাতে না ছড়ায়। মানুষকে সুস্থ রাখার আপ্রাণ প্রয়াস। তাইতো পড়াশোনার প্রতি দিতে হয়েছে নতুন দৃষ্টি। বদল আনতে হয়েছে পড়াশোনার পদ্ধতি। মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাপকতর ব্যবহার হয়েছে ও আরও হতে যাচ্ছে Social Media in Education-এ।
তবে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুল গুলি এর ব্যবহার সে রকম ব্যবহার করতে পারছে না। যতটা পারদর্শী হতে পেরেছে বেসরকারি স্কুল গুলি। তবে সরকারি কলেজগুলো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ব্যবহার তুলনামূলকভাবে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে।
সে যাই হোক সোশ্যাল মিডিয়া শিক্ষাব্যবস্থার(social media in education) মধ্যে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এবং আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে করতে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ কথা সত্যি সরকারি স্কুল গুলির আগামীদিনের সোশ্যাল মিডিয়ার(Social Media in Education) প্রতি নজর দেবে। পরিকাঠামোর অবশ্যই উন্নতি হবে।
2020 লকডাউনে আমরা দেখেছি সরকারি বিদ্যালয় গুলি কিছু টিভি চ্যানেল এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে পঠন-পাঠন সক্রিয় রাখা রং ব্যবস্থা করেছিল। 2021-এ সে তৎপরতা সরকারি ভাবে সেরকম চোখে পড়ছে না। আমরা আশায় আছি। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে শিক্ষায় Social Media in Education যথাযথ ব্যবহারের দিকে।
Online classes during lockdown-
জানিনা কোভিড অতিমারি লকডাউনের পর্ব কবে শেষ হবে। কবে আবার সেই আগের স্কুল চিত্র ফুটে উঠবে। পুনরায় বাড়ির অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তন হয়ে আবার স্টাডিরুমে পরিণত হবে
বাড়ি যাই হোক বিদ্যালয় নয়। আর বিদ্যালয়কে বিদ্যালয়ের মত ব্যবহার করা উচিত। সশরীরে বিদ্যালয়ে ক্লাসে বসে ক্লাস করা আর সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) ক্লাস করার মধ্যেই যথেষ্ট পার্থক্য আছে। ভালো-মন্দ অনেক কিছু আছে। সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচিত হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media) কি প্রকৃত সোশ্যাল সম্পর্ক তৈরি হয়-
সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media)একটা পোস্ট আর তার জন্য হাজার হাজার কমেন্ট। শুধু কমেন্ট নয়। ভালো-মন্দ মিলেমিশে একাকার। ভালো কমেন্ট এবং তার বিরুদ্ধে খারাপ কথা, কুমন্তব্য। আপনি যে মত বা ধারনায় বিশ্বাসী, আপনার সাথে মতের মিল হলে আপনি ভাল মন্তব্য করবেন, স্বাভাবিক। আর আপনার মতের সাথে অমিল হলে, আপনি হয়তো কুমন্তব্য গালাগালি দেবেন না। কিন্তু আপনার মতো নয় যারা, তারা তো ছাড়বে না। শুরু হবে গালিগালাজ ও কূকথা। একটা অসামাজিক পরিস্থিতি তৈরি হবে। কি ভাষা, কি বাক্য, কি মন্তব্য, অবিশ্বাস্য সব।
আপনার ছেলে মেয়ে ক্লাস করছে। হাতে মোবাইল 8-10 থেকে 16-17 দুরন্ত মন। ক্লাসের ফাঁকে আপনার ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে সে ঢুকবে না তার কোন গ্যারান্টি আছে কি? আপনি হয়তো খুব সচেতন। আপনার ছেলে মেয়ের প্রতিদিনের কাজকর্ম চালচলন আপনি নজরে রাখেন। কিন্তু আপামর অন্যান্য অভিভাবক তারা কি তাদের কাজকর্ম ছেঢড়ে ছেলে-মেয়ের মোবাইলের ক্লাস করছে না, গেম খেলছে কত লক্ষ্য রাখবে?
সরাসরি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন-
Online classes during lockdown বাড়ির মধ্যে বন্দি। বিদ্যালয় বন্ধ। বন্ধুদের সাথে, শিক্ষকের সাথে সরাসরি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন। আত্মিক আদান-প্রদান Social Media মধ্যে নিমগ্ন। ছাত্র-ছাত্রী মোবাইলের চুম্বকীয় টানে লেগে আছে। বাইরের পরিবেশ বাদ দিন। বাড়ির মধ্যেই কি ঘটছে সেটা পর্যন্ত অনেকেই লক্ষ্য রাখে না। একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপে সময় কাটানো। মানসিক রোগে পরিণত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কথায় বলে না আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড। বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজন কেউ দৃষ্টির মধ্যে নেই। স্বাভাবিকভাবে মন থেকেও দূরে চলে যায়। প্রাকৃতিক নিয়মে কৃত্রিম সম্পর্কের মায়াজাল। মায়া মমতা ভালবাসা গুলোর কেমন যেন ডিজিটাল ভার্চুয়াল(Digital and Virtual) হয়ে যাচ্ছে। প্রীতির সম্পর্ক তৈরি হবার আগেই ভেঙ্গে চুরমার।
চোখের রোগ-
দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা। ছোট স্ক্রিন,ছোট লেখা। তার ওপর আলো। ছোট লেখার জন্য জোর করে চোখ দেখার চেষ্টা করে। আর স্ক্রিনের আলো চোখে লাগছে। সহজভাবেই চোখ ভালো থাকবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
অবশ্য যাদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ আছে স্ক্রীন বড় হওয়ার জন্য লেখা পড়া হয়। কিন্তু আলোর ঝলকানি থেকে মুক্তি কোথায়?
কানের রোগ-
অনেকে হেডফোন ব্যবহার করে। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত শব্দের মধ্যে কজন শোনে জানা নেই। স্বাভাবিকভাবে অনিয়ন্ত্রিত শব্দতরঙ্গ শুধু কান্ই নয়, ব্রেনের উপর চাপ বৃদ্ধি করে। ভবিষ্যতের যেকোনো ধরনের রোগ সৃষ্টির পক্ষে যথেষ্ট। বিশেষ করে কান এবং তারপর ব্রেন।
ইন্টারনেট রেডিয়েশনের(Internet Radiation) জন্য যে কোন রোগ-
এখন 4G যুগ। 4G না হলে ভিডিও বা কোন পেইজ ভালোভাবে লোড হবেনা। 2G থেকে 3G এবং বর্তমানে 4G। 4G তে অভ্যস্ত হলে 3G তে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। যত জেনারেশন বৃদ্ধি পাবে, Radiation ততই বাড়বে। শরীরের সমস্যা দেখা দেবে। বিশেষত হার্ট ও ব্রেনের উপর দিয়ে যাবে। অর্থাৎ হার্ট এবং নার্ভাস সিস্টেমটাকে অকেজো করে দেবার পক্ষে যথেষ্ট।
4G রং পরে আসছে 5G। তাই রেডিয়েশন এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে- এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন আপনার সিদ্ধান্ত আপনি নিজে নেবেন 5G ব্যবহার করবেন, কি করবেন না।
মোবাইল এডিক্ট(Mobile Addict)-
হাতের কাছে এন্টারটেনমেন্ট। বিশাল সম্ভার। টিভি যখন প্রত্যেক বাড়িতে এলো, তখনই গেল গেল রব উঠেছিল। কার্টুন ডিসকভারি এর মধ্যেই আমাদের ছেলেমেয়েদের সীমাবদ্ধ ছিল। এখন হাতে মোবাইল মানেই সারা বিশ্ব হাতের মুঠোয়। আপনি যত না জানেন, আপনার শিশুটি আপনাকে শিখিয়ে দেবে মোবাইলের কাজকর্ম। পুরো সেটিং বদলে দেবে।
হাতের মধ্যেই তার সমস্ত আনন্দ বন্দি। আর তার টিভি দেখার কি প্রয়োজন? ইউটিউব, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম সমস্ত কিছুর মধ্যেই অত্যন্ত আকর্ষণীয় আনন্দদায়ক উপভোগ্য বিষয়বস্তু। তাছাড়া ভিডিও গেম তো আছেই।
Online classes during lockdownএর মাঝে মাঝে বিরতিতে চলতে থাকে আনন্দদায়ক উপভোগ্য অনুষ্ঠান। আপনি বারণ করলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে। খাওয়া-দাওয়া স্নান বন্ধ। আপনি বাধ্য হবেন তার কাজকর্মকে অনিচ্ছাকৃত সমর্থন করতে।
Online classes during lockdown এ আমার এক পরিচিত তার ছেলে Google pay থেকে 64 হাজার টাকা খরচ করেছে। বাবা জানতেই পারেনি। যখন ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি বিল পেমেন্ট করতে যাবেন দেখছেন তার অ্যাকাউন্ট শূন্য(0)। ভদ্রলোকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল।
ছেলেটি কি করত? অনলাইন ক্লাসে প্রেজেন্ট দিয়ে সে যত নিষিদ্ধ কাজ সেগুলো করত। বিশেষ করে অনলাইন ক্যাসিনোতে সে ওই টাকাগুলো খরচ করেছিল। বাবা জানতো ছেলে অনলাইন ক্লাস করছে। স্যাররাও জানতেন তাদের ছাত্র তাদের অনলাইন ক্লাস গ্রুপে আছে। কিন্তু ওই যে বললাম নিষিদ্ধ জগতের প্রতি কিশোর বয়সের একটা অমোঘ টান, সেই টানকে সে অস্বীকার করতে পারেনি। তার ক্ষমতা ছিলনা। অভিভাবকের অজ্ঞানতা এর জন্য দায়ী অনেকখানি।
অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ-
আপনি আপনার ছেলে মেয়ে কিভাবে মানুষ করবেন সেটা আপনার বিষয়। কিন্তু সামাজিক বাতাবরণকে অস্বীকার করে একমাত্র মোবাইলই ভরসা বলে ছেলে-মেয়ের কার্যপ্রণালিকে 100% বিশ্বাস করবেন না। দেখুন তাদের অ্যাক্টিভিটি। লক্ষ্য রাখুন ভালো-মন্দ বিষয়গুলোকে। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের মনের মধ্যে চলতে থাকা ভাবনাগুলোকে জানুন। সেগুলো কতটা ক্ষতিকর, কতটা বাস্তব সম্মত আর কতটা বা তাদের আচরণের জন্য হিতকর। অহিতকর বা অসামাজিক মনে হলেই বোঝান। প্রয়োজনে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা আদান-প্রদান ও অনুশাসনের বন্ধনে আবদ্ধ করুন। তাছাড়া সবার শেষে আছে কাউন্সেলিং। আপনার ভূমিকাটাই প্রাধান্য পাক।
Social media in education-
চলমান কোভিড লকডাউন পরিস্থিতি বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে বলা খুব মুশকিল। শিক্ষার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার(Social Media in Education) প্রবেশকে কোনমতে অস্বীকার করা যাবে না। ডিজিটাল যুগের পূর্বে হলে কি হতো? সেটা আজকের বিষয় নয়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকেও অচ্ছুত করে শিক্ষাব্যবস্থার চারিদিকে গণ্ডি কাটা সম্ভব নয়। তাই বলা যেতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার অবশ্যম্ভাবী। না হলে এই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে অন্য কোন অপশন আমাদের হাতে নেই।
West Bengal government cannot apply digital Social Media in Education till now-
আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার 100% ডিজিটাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে Social Media in Education করতে পারেনি। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদেরকে এই পরিষেবা থেকে এখনও প্রায় বঞ্চিত।
তাছাড়া অধিকাংশ বাড়ির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন যে তাদের পক্ষে এই মুহূর্তে এন্ড্রয়েড মোবাইল কেনা সম্ভব নয়। ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ তো দূরের কথা।
তাছাড়া পরিকাঠামো এমন নয় যে এই মুহূর্তেই সেন্ট্রালাইজড অনলাইন সিস্টেম এর মাধ্যমে Digital Social media in education প্রয়োগ করা সম্ভব।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের সমস্ত শিক্ষক 100% ট্রেন্ড নয় যাতে Online digital social media in education কে যথার্থ ভাবে ব্যবহার করতে পারে।
কিন্তু লকডাউন কতদিন চলবে বলা মুশকিল। তাই অনলাইন ক্লাস একমাত্র ভরসা। ক্লাস না হলে কোন কিছু না শিখে পরবর্তী ক্লাসে উঠে পড়াও কোন ছাত্র-ছাত্রী পক্ষে সুখকর হতে পারে না। পরবর্তী উচ্চ ক্লাস অর্থেই নতুন কিছু উচ্চমাত্রার পাঠক্রম, যা পূর্ববর্তী ক্লাসের অনুসরণযোগ্য। অর্থাৎ পূর্ববর্তী ক্লাসে কিছু না শিখে পরবর্তী ক্লাসে পৌঁছানো অর্থেই সবকিছু আয়ত্তের মধ্যে আসতে পারে না। অতএব আংশিক শিক্ষা, আংশিক জানা অসম্পূর্ণ শিক্ষা।
Internet Social Media in Education in respect of Evaluation-
কেবলমাত্র অনলাইন ক্লাস নয়, যেহেতু সীমাহীন লকডাউন তাই ইভ্যালুয়েশন এর কাজও অনলাইন এর মাধ্যমে করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে এ
ইভ্যালুয়েশন না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কতটুকু নির্যাস প্রেরিত হলো তা অজানা থেকে যাবে। গতবছর যেমন পরীক্ষা না দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ এক অসম্পূর্ণ শিক্ষার লোটবহর নিয়ে এ বছরে বছরে উত্তীর্ণ হয়েছি। আবার যদি এ বছর আগের বছরের মত হয় তাহলে ভবিষ্যৎ কোথায় দাঁড়াবে সে বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না।
সরকারি বিদ্যালয় বর্তমানে কারা পড়াশোনা করার জন্য যায়? আমরা জানি। তার মধ্যে কিছু মেধাবীকে বাদ দিয়ে বাকিদের অবস্থা কি হবে? না ঘরকা, না ঘাটকা। ভবিষ্যৎ-এ শুধু আমাদের পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারাদেশ, এমনকি সারা পৃথিবীর প্রথম প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের একই অবস্থা।
স্কুল কবে খুলবে-
আশার কথা বিদ্যালয় খোলার কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করলেন। রাজ্যবাসী তার মুখের দিকেই তাকিয়ে ছিল। কবে তিনি নিজে ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবক, শিক্ষক মহলকে আশার কথা শোনাবেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কোন মন্ত্রীর কথার উপর বিশ্বাস ভরসা কিছুই করা যায় না। তাদের সে স্বাধীনতাও নেই আর ব্লার ক্ষ্মতাও নেই। মুখ্যমন্ত্রীই প্রথম এবং শেষ কথা।
অন্যদিকে কয়েকটি রাজ্যের বিদ্যালয় শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের রজ্যেও আগামী 16/11/2021 থেকে বিদ্যাল্যের নবম থেকে দ্বাদশ, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় সবই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতার দিকে এগিয়ে যাবে আশা করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীও আগামী 01/12/2021 থেকে দশম থেকে বিদ্যালয় স্তর ও স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ সমস্ত বিভাগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একটি কথা জানিয়া রাখা ভালো- পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলি কিন্তু খোলাই ছিল। ছুটির দিনগুলি বাদ দিয়ে অফিসের স্মস্ত কাজকর্ম চলেছে গত দেড় বছর ধরেই। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা পালা করে অফিসের কাজ সামলিয়েছেন। কেবল ক্লাসটুকুই হয়নি। যদিও এ বছরই মার্চ এপ্রিল মাসে ভোটের আগে পর্যন্ত নবম-দ্বাদশ ক্লাস হয়েছে, ফাইনাল প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাও হয়েছে।
আশা করা যায় ভবিষ্যতে সবকিছু স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে। মানুষ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবে।
শেষের কথা-
অতএব Digital social media in education-এর সদ্ব্যবহার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে সঠিক পরিকাঠামো এখনো তৈরি না করলে শিক্ষাব্যবস্থার মানে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। যত তাড়াতাড়ি করোনা থেকে মুক্তির উপায়- এটা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। অতএব digital media internet পরিষেবা Social media in education, Online classes during lockdown জরুরী কালিন ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা দরকার।
যতই খারাপ দিক থাকে, আমাদেরকে Digital যুগের কাছে আত্মসমর্পণ না করে উপায় নেই। যদি কোন উপায় থাকে অবশ্যই মন্তব্য বক্সে লিখুন বা আমাদের সঙ্গে Contact us pageএ যোগাযোগ করুন, লিখে পাঠান। ধন্যবাদ।