যেকোন দেশের যুদ্ধের প্রভাবও সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্দির উপরেও সাংঘাতিকভাবে প্রতিফলিত
2009, 2010 ও 2011 সালে 24 ক্যারেট 10 গ্রাম সোনার মূল্য ছিল যথাক্রমে 14500, 18500, 26400 টাকা। বর্তমানে ওই টাকায় কতটুকু সোনা পাওয়া যায়?
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সারা পৃথিবী ব্যাপী সাংঘাতিক প্রভাব ফেলেছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর নানান নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি অনেকটাই পর্যুদস্ত।
অর্থনীতির একটা সোজা নিয়ম- চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মূল্য বৃদ্ধি পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রত্যেকটা জিনিসের বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
চাহিদা আছে আবার যোগানের পরিমাণ সীমিত সেক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।
মফস্বল শহর থেকে শুরু করে মেট্রোপলিটন সিটি প্রত্যেকটা জায়গাতেই কৃষক সরাসরি সে দ্রব্য বাজারে আনতে পারে না।
গম, চাল, নন-ব্র্যান্ডেড ময়দা, দই, মাখন, দুধ নন-ব্র্যান্ডেড মধু উপর জিএসটি নেই- 0%। এদের মূল্য কমে যাওয়ার কথা, কিন্তু তার ফলাফল আমরা দেখেছি কি?
বিভিন্ন গোপন স্থানে অসৎ মজুমদাররা দ্রব্য বন্ধ করে রাখে এবং বাজারে একটা কৃত্রিম ঘাটতি সৃষ্টি করে।
বিভিন্ন স্তরে কোম্পানিতে তার লাভের অংক বন্টন করতে হয় স্বাভাবিক ভাবেই কোন একটি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তারকাদের দ্বারা বিজ্ঞাপন দিলে কোম্পানির প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় হয়। স্বভাবতই কোম্পানি ওই দ্রব্যটির মূল্য স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি করে।
যেকোন যুদ্ধই সারা পৃথিবীতে জনসমাজে মারাত্মক ক্ষতি নিয়ে আসে। বর্তমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধও মুল্যবৃদ্ধির পথকে ত্বরাণ্বিত করছে।