ভারতের দারিদ্রতা প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে ভারতে প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য থেকে বের করা সম্ভব হয়েছে।
খবরটি dw.com নামে একটি পোর্টালে India's poverty debate: Truth behind the numbers শিরোনামের নিরিখে প্রকাশ করা আপনাদের অবগতি করানো হচ্ছে।
সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৯ বছরে দেশে বসবাসকারী প্রায় ২৪ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে গত নয় বছরে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় বসবাসকারী মানুষের অংশ ২৯ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।
সংখ্যা তত্বের ভিত্তিতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যকে ১% এর নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এই লক্ষ্যের দিকে দৃঢ় অগ্রগতি উন্মেষকে অবহেলা করা যায় না বলে মনে হতে পারে।
Multidimensional Poverty Index- প্রশ্ন আছে। এমপিআই কি সঠিকভাবে দারিদ্র্যকে প্রতিফলিত করে? বহুমাত্রিক দারিদ্র্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে।
প্রতিটি পরিবারকে ১২টি প্যারামিটারের ভিত্তিতে একটি স্কোর দেওয়া হয় এবং যদি কোনও পরিবারের বঞ্চনার স্কোর ৩৩ শতাংশের বেশি হয় তবে তাকে বহুমাত্রিকভাবে দরিদ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
কিছু অর্থনীতিবিদ যুক্তি দেখিয়েছেন যে দারিদ্র্যের উপর কোভিডের বিধ্বংসী প্রভাব রিপোর্টের ফলাফলে অনুপস্থিত।
অন্যরা উল্লেখ করেছেন যে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য অনুমানের ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি ভোগ দারিদ্র্যসীমার নীচে জনসংখ্যার সংখ্যা এবং অংশ অনুপস্থিত।
সন্তোষ মেহরোত্রার মতে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভোগ ব্যয় সমীক্ষার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় এমপিআইকে ভারতের দারিদ্র্য সূচক হিসাবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য একটি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।
দারিদ্র্য দুরিক্রনের জন্য খাদ্যের যোগান, গণবন্টন ব্যবস্থার মতো প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের সংখ্যা অনুমান করার জন্যও সরকারেরও এই সংখ্যার প্রয়োজন।
গত বছরের অক্টোবরে, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৩-এ মোট ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারত ১১১তম স্থান অর্জন করেছিল।