পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধি- সামাজিক প্রভাব

কেন পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি এবং তার প্রভাবে জনগন বীতশ্রদ্ধ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে প্রতি লিটারে 105-110 টাকা ছাড়িয়েছে।

মানুষের পকেটে টান

মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এবং পরিবারের বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।।

সরকারের পেট্রোলিয়াম পণ্য

Fভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের নেতৃত্বে থাকা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলির উপর থেকে কিছুতেই কর হ্রাসের চেষ্টা করছেন না।

তেলের চাহিদা

ভারত তার অভ্যন্তরীণ তেলের চাহিদা মূলত আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে। গত ছয়  মাসে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত দামগুলি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পেট্রোলের বেশি দামের কারণ

কেন্দ্রীয় সরকার জ্বালানির উপরে আবগারি শুল্ক এবং সেস আরোপ করে, এবং একটি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করে রাজ্যগুলি।

পেট্রোলের ট্যাক্স

পেট্রোল লিটার প্রতি 100 টাকা হলেী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসাথে ট্যাক্স 58 টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আবগারি শুল্ক প্রায় 32-33 টাকা। বাকি রাজ্যগুলির দ্বারা ভ্যাট।

পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি’র  অন্যতম কারণ

প্রচলিত করের নিম্ন স্তরের কারণে ভারতীয় শহরগুলিতে পেট্রোলের খুচরা মূল্য  প্রতি লিটারে 90 টকাযর নীচে থেকে যায়। এই সময়ের মধ্যে পেট্রোলের আবগারি  শুল্ক ছিল 10 টাকা।

পেট্রোলের উপর GST

জনগণ চাইছে পেট্রোলের উপর GST চাপানো হোক। GST-এর সর্বোচ্চ হার 28%।  সর্বোচ্চ হারেও যদি  GST নেওয়া হয় তবুও পেট্রোলের মূল্য মানুষের নাগালের  মধ্যেই থাকবে।

রাজ্য সরকারগুলি পেট্রোলের উপর GST বসানোর উপর হাল্কা চাপ সৃষ্টি করলেও  প্রত্যক্ষ সক্রিয় কোনো আন্দোলন করে না। কারণ পেট্রোল থেকে রাজ্যগুলিরও  রাজস্ব কম হবার এক আশঙ্কা থেকে যায়।

রাজ্যগুলির ভূমিকা 

জ্বালানী সংস্থাগুলি

গত মার্চ মাসে এবং এপ্রিল মাসে তিনবার দাম কমিয়েছিল। এপ্রিল মাসে 1.3  ডলার কমে যাওয়ার আগে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেলের  গড় দাম বেড়েছিল 3.5 ডলার।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ

যেকোন যুদ্ধই সারা পৃথিবীতে যে মন্দার প্রভাব ফেলে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে উপর মারাত্মক উল্টো প্রতিক্রিয়া ভারতের মধ্যেও পড়েছে।