টমাস এডিসনের মা’য়ের ভূমিকা’ই প্রমাণ করে পরিবারের বাবা-মা-অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোন অসীমতায় পৌঁছে দেয়। পরিবারের গুরুত্বকে অস্বীকার করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ নিয়ে তর্ক আছে। অনেকেই বলেন স্বামী-স্ত্রী পুত্র-কন্যা নিয়ে একটি বাড়িতে বসবাস করলে তা পরিবার হয়। অনেকে বলেন এটা সংকীর্ণ অর্থ।
যে প্রতিষ্ঠানে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ মানুষ জন, সন্তান সন্ততি, রক্তের সম্পর্ক আছে অথবা নেই এমন ব্যক্তিও, বৈবাহিক আত্মীয়জন মিলিতভাবে, সুসম্পর্কের মাধ্যমে সহাবস্থান গড়ে তোলেন।
নিউক্লিয়ার পরিবার, একক-পিতা-মাতা পরিবার , বর্ধিত পরিবার , মিশ্র পরিবার , দত্তক পরিবার , পালক পরিবার ইত্যাদি নানান পরিবারের অস্তিত্ব রয়েছে।
পরিবারকে কোন ব্যক্তি বেশিরভাগ সামাজিক ক্রিয়া-কলাপ এর কেন্দ্র। পরিবার প্রত্যেক সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমর্থনের ওপর প্রতিষ্ঠিত এটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
পরিবার হলো শিশুদের প্রথম পাঠশাল। পরিবার তার সদস্যদের মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং রীতিনীতি শেখানোর মাধ্যমে সামাজিক জীবনের উপযুক্ত করে তোলে।
একটি পরিবার তার ছত্রছায়ায় অবস্থিত প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে সুরক্ষা প্রদান করে। স্বকীয়তা, অনুভূতি, নিয়ন্ত্রিত এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ আচরণ করতে শেখায়।
পরিবারের প্রধান কাজটি হল মানবজাতির ধারাবাহিকতা হিসাবে বিবেচনা করা, যা সন্তানের জন্ম এবং সঠিকভাবে লালন-পালন এবং যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে হয়।
পরিবার প্রতিটি যুগে এবং প্রতিটি সমাজে বিদ্যমান, অর্থাৎ প্রতিটি ব্যক্তি একটি পরিবারের অংশ বলা যেতে পারে ।
প্রত্যেকটি পরিবারের একটি নির্দিষ্ট বাসস্থান রয়েছে পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য একই ছাদের নিচে একে অপরের সাথে মিলেমিশে একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে।
পরিবারের বড় সদস্যরা বিশেষ করে কর্তা স্থানীয় ব্যক্তিরা আর্থিক উপার্জনে মনোননিবেশ করেন। যা পরিবারের সমস্ত সদস্যের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। ছোটোরা সেই শিক্ষা গ্রহণ করে।
একক-পিতা-মাতা পরিবারের সন্তানদের আচরণগত সমস্যা অনেক বেশি হতে পারে। সাবধান হওয়া প্রয়োজন।