শিশু দিবসে(Children's Day) শিশুর প্রতি গুরুত্ব আরোপের এক অভূতপূর্ব দিবস উদযাপন।
শিশু দিবস কবে?
শিশু দিবস উদযাপনের জন্য 14 নভেম্বর দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। এই দিনই পন্ডিত জহরলাল নেহেরু জন্মদিবস।
কেন এই শিশু দিবস?
পন্ডিত জহরলাল নেহেরু শিশুদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতেন। এক গভীর ভালোবাসা, প্রেম ছিল শিশুদের প্রতি।
তিনি শিশুদের শিক্ষার পরিপূর্ণতা অর্জনের পক্ষে বিশেষ সমর্থন করেছিলেন। নেহেরু বলতেন শিশুরা হল জাতির আসল শক্তি, যাদেরকে তিনি সমাজের ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।
ভারতে জাতীয় শিশু দিবসের প্রস্তাব
1964 সালে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর, সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে তার জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় শিশু দিবসের সরকারী তারিখ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের থিম অনুসারে জাতীয় শিশু দিবসের থিম-
“A Better Future for Every Child”
কোভিড ১৯ এর সাংঘাতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে দুটি বছর অতিক্রম ক্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থিম।
শিশু দিবসের গুরুত্ব
আগামীর কান্ডারী ও দেশ পরিচালনার নেতা। শিশুদের শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব আরোপ না করলে ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।
কিভাবে পালন করা উচিত?
শিশুদের জামা, কাপড়, জুতো, পড়াশোনার সামগ্রী সহ নানান পুরস্কার। শিশুদের প্রিয় খাবার পরিবেশন, মজাদার অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। অনাথ আশ্রমেও যেতে পারেন।
শিশু দিবস কি ছুটির দিন?
শিশু দিবস জাতীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয় না। দেশব্যাপী শিশু দিবস উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই দিবস পালনের অংশগ্রহণ করার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
তবুও শিশুদের নানান সমস্যা
শিশু শ্রমিক, স্কুলে ভর্তি না হওয়া, স্কুল ছুট, কন্যা শিশুর প্রতি পক্ষপাতিত্ব, কণ্যা ভ্রূণ হত্যা।
জাতীয় শিশু দিবস- ২০২২ আশার আলো
পরিবার, অভিভাবক, মা-বাবা আছেন যারা সকল সন্তানের প্রতি সমান ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতা এবং গুরুত্ব প্রদান করে।